রূপের নেশায় হারিয়ে গেছি
      নীল আকাশের তীরে,
শত খুঁজিলেও পাবে না তুমি
     অপরূপ রূপের মাঝে!


শ্বাশত রূপ এই গ্রাম বাংলার
     চোখ ধাঁধানো আলো,
তোমার রূপে নজর কাড়ে
     স্রাষ্টার দেয়া আলো।


তোমার উপরে সুনীল আকাশ
      শুভ্র সাদা মেঘের ভেলা,
তোমার আকাশে রাতের বেলা
      চাঁদ-তারা করে খেলা।


ওই রোদ দুপুরে ধুসর মেঘে
      নীচে ফসলের মাঠে,
সবুজে ভরা গ্রামের পড়ে গ্রামে
     কৃষকেরা ধান কাটে।


হাওরে বাওরে বিলে ঝিলে কত
       শাপলা শালুক ফোটে,
কৃষকের নীড়ে মহানন্দে কত?
        আউশের চিড়া কুটে।


খালে বিলে সাগরের মাঝে
     জেলে ভাই জাল ফেলে,
কত প্রজাতির মাছ ধরে তারা
      খাবার নেয় ঘরে তুলে।


সকাল বেলা মিষ্টি রোদে কত?
      শীতার্তরা থাকে বসে,
গ্রীষ্মের উত্তাপে কত পথিক
       ছত্র মেলিয়া পথে হাটে।


সাজ সকালে দোয়েল-কোয়েল
      শিস দেয় আপন সুরে,
সারাকাশ ঘুরে পাখ-পাখালী
     সন্ধায় আসে ফিরে নীড়ে।


অপরাহ্নের লাল নীলভ আলো
     দৃশ্য কত চিত্তাকর্ষক?
সমুদ্র তীরে প্রিয়জনের দর্শন
     কত মনো আকর্ষক।


অরূনের আলো নিভুনিভুকালে
     মেঘের কোল ঘেঁষে,
মুক্ত বলাকা ঝাপটা মেলে
      উড়ে যায় আপন দেশে।


সন্ধ্যা বেলায় প্রদীপ জ্বালায়
     প্রতিটা নীড়ে নীড়ে,
কত কীট-পতঙ্গ সুখের আশায়
     আসে উড়ে উড়ে।