ভেবেছিনু তুমিময় একটি কবিতা লিখব,
যার প্রতিটা ছন্দে তোমার অস্তিত্ব থাকবে।
যার প্রতিটা শব্দে তুমি থাকবে-
কবিতার প্রতিটা শব্দ হবে তোমার অলংকার;
তব শোভার প্রকাশে আমার এ শব্দ মিলনের খেলা,
তোমায় নিয়ে সাজাব শব্দ মেঘের ভেলা।
কোন এক পড়ন্ত বিকালে,
কিংবা কোনো এক স্নিগ্ধ সকালে;
কিংবা ভর দুপুরে শ্রান্তক্লান্ত কন্ঠে তোমায় সেই কবিতা শোনাব!
তব পরশে জীর্ণশীর্ণ কবিতাখানি যৌবনপ্রাপ্ত হবে!
তোমায় নিয়ে রচনা করব আরেকটি প্রেমের কাব্য।
লোক-লোকান্তারে চলবে সে অমর প্রেমকাহিনী।
কিন্তু তুমি এলেনা,সঙ্গ দিলে না আমায়!
তবুও আমি প্রতীক্ষার প্রহর গুনি,
কবিতার ছন্দে তোমার প্রত্যাবর্তনের সুর শুনি।
দিন যায়,রাত আসে,
চলে গেল কত শত দিন,
তবুও শুধাতে পারিনা প্রতীক্ষার ঋণ।
পরম আদরে লিখা কবিতা খানি ধূলাতে জমে যায়,
তোমায় পড়ে শোনার অবকাশ না পাই!
তুমি কোথায়?এসো-
তোমার নিমিত্ত লেখা কবিতাখানি দেখো,
পূর্ণতা দাও আমার কবিতাকে,
অবসর ঘটাও আমার প্রতীক্ষার,
অমরত্ব দান করো আমার প্রতিটা সৃষ্টিকে!
ধাবিত করো আমাকে নবসৃষ্টির নবলোকে।।