তুমি তো বন্যা নও!
তবু কেন ভেসে যাই?
জন্ম-মৃত্যুর সন্ধিকপথে-
দিশাহীন তোমার পানে অচেনা রথে।


তুমি তো অনল নও!
তুমি কেন ভয়াবহ  দাবানলের সৃষ্টি?
শান্ত করো এ হৃদয়
ঝড়ুক এক পশলা ভালবাসার বৃষ্টি।


তুমি তো মোহ নও!
তবু কেন আমি আকৃষ্ট?
যেমনে থাকে প্রজাপতি-
মধুতে আবিষ্ট।


তুমি তো কাল বৈশাখী নও!
তবু কেন চুরমার করো আমায়?
বাতলে যায় জীবনযাত্রা
চলি কোন অন্য ঠিকানায়।


তুমি শীত নও!
তবু কেন জীর্ন আমি?
যেমনে চলে আসে রোদ
শিশিরে থামি।


তুমি তো গান নও!
তবুও ভেতরে তোমার ধ্বনি!
শিহরে জাগরণে-
কেবল সে সুর ই শুনি


তুমি তো মেঘ নও!
তবু কেন থমকে যায় আমার আকাশ?
ধুলা জমা শহরে জমে থাকা
একরাশ অভিমানের বাতাস।


তুমি তো নদী নও!
তবুও কেন ভাঙে আমার কূল?
বিসর্জনে ক্লান্ত আমি
শুকিয়ে যাওয়া ফুল।


তুমি তো দেবী নও!
তবুও তুমি পূজিতা -
আছে শুধু ভালবাসা
নেই ছলনা-ভণিতা।


তুমি তো বকুল নও!
তবু কেন খুঁজি ঝরে পড়া প্রভাতে
পড়ে থাকি তব ভাবনায়
মিলিয়ে যেও আমাতে।


কে তুমি? কি তোমার স্বরুপ?
জানিনা নাকো আমি!
শুধু তোমায় ভালবাসি-
জানে হৃদয়,জানে অর্ন্তযামী।