ভালবাসা মেনেছে হার পোড়া দেহের কাছে
জৈবিকতা সোনার রথে প্রেম রহে গো পাছে।
ভাবছো এত নোংড়া, এত বিভৎস কেউ হয়!
হয়েছে গো হয়েছে, ঐ গায়ে সে রয়।
দুনিয়াটা ভুলেছিলেম, ভুলেছিলেম সুখ দুঃখ
শুধু ভালবেসেছিলেম বন্ধুর, বাঁকা হাসির মুখ।
সে যে আমার দিন রাত্রি আমার চোখের জল
তাকে ছাড়া চলছিলনা’তো আমার একটি পল।
শিরায় - শিরায় দমে - দমে জপি তারই নাম
হৃদমাঝারে স্বপ্ন আঁকি গড়ি প্রেমের ধাম।
ভুল ছিল গো বন্ধু সবে, সব ছিল মোর ভুল
ছল ছিল তার প্রেমের তলে, বুঝিনি এক চুল।
সুখ খুঁজতো আমার বুকে বোঝার উপায় নেই
একটু পরে অন্য বুকে ঝাপটি দিত সে’ই।
হা..হা..হা.. তার জন্য দোষী হতাম আমি বাড়ংবার
ধূলায় মেশে চোখের জল নেই তো খবর তার।
শত করুক অবহেলা যতই অপমান
বাঁচাতে হবে ভালবাসা তাই দিয়েছি প্রাণ।


এধার থেকে ওধার ছুটি নেইকো ক্লান্তি ঘুম
নানান দেশে নানান বেসে চালায় প্রেমের ধূম।
ওহ্ ! আমাকে ছাড়া বাঁচবেনা সে অন্যখানেও তাই
কি সুখ! এতো সুখ!! কত সুখ!!! সুখের সীমা নাই।
শোনো সখা শোনো বন্ধু, শোনো আমার সখি
সব দিওনা, একটুকুন প্রেম রেখে দিও হৃদয় মাঝে ঢাকি।
সবটুকু প্রেম দিলে ঢেলে রিক্ত হবে তোমার দু’টি হাত
তোমার প্রেম’ই তোমার মাঝে রইবেনা’তো সাথ।


এধার থেকে ওধার ছুটি পাইনি খুঁজে সুখ
আহার নিদ্র পালিয়েছে ভেঙ্গে যায়’রে বুক
সবটুকু প্রেম দিয়ে ছিলেম, সবটুকুই ঢেলে
হিসেব নিকেষ হয়নি করা চর্মচক্ষু মেলে।
দেহ ঘুরি উড়িয়ে চলে সুতার নেই’তো খোঁজ
হাহাহা এ সবের জন্য না কি আমার ছিল দোষ!
প্রশ্নের সাথে উত্তর খানির নেই’তো কোনো মিল
নৌকো ভাসায় নীল আকাশে জলে উড়ায় চিল।
ছুটেছি তার পিছু পিছু যেমনি আধার আলো
এক প্রহরও থামিনি মুই না বাসলেও ভালো।
কোথায় যাবি? কোন দেশেতে? কোন সমূদ্রের পাড়?
পাগলা হাওয়ায় মিশেও আমি, ছড়িনি সাথ তার।


এধার থেকে ওধার ছুটি, বুকের মাঝে ঢেউ
সমূদ্রপাড় ঘুড়তে যায় সে সঙ্গে অন্য কেউ।
যন্ত্রণাতে গুমড়ে কাঁদি প্রাণ হয়ে যায় বার
নকল হাসি মেখে ফেরে সব হারিয়ে তার।
ঘূর্ণিঝড় আর মাতাল ঢেউয়ে সবটা ফেলে দিয়ে
সোনালী দিন একেছিলেম আমি তাকে নিয়ে।
আহ্! অবিশ্বাসের গাইতি দিয়ে মারে বারে বার
এত কষ্ট, এত যন্ত্রণা, তবু ছাড়িনি হাত তার।
ধরে ছিলেম শক্ত হাতে করেছিলেম আশা
হয়ত একদিন বুঝবে সে যে আমার ভালবাসা।
এমনি করে ছুটতে থাকি এধার থেকে ওধার
মাঝে মাঝে হয়গো মনে এইতো বুঝি প্রাণটা হবে বার।
ওগো বন্ধু, ওগো সখা, শোনো ধরার সকল প্রেমিকজন
দিওনা তো কাউকে তোমরা শত ভাগ ঐ মন।
কিছু অন্তর রেখ হাতে , চলতে বাকি পথ
নইলে কিন্তু থেমে যাবে তোমার জীবন রথ।
একটুখানি বিশ্বাস আর একটু ভালবাসা রেখ কিন্তু তুলে
নইলে, এমন জ্বালায় জ্বলবে তুমি আপনাকে যাও ভুলে।


এধার থেকে ওধার ছুটি পাইনি খুঁজে কূল
বুকের মাঝে ফুটতে থাকে বেঈমানীর’ই হুল।
সেদিন ছিল জম্নদিন তার সাত নদীর ওপারে
আমাকে যে যেতেই হবে, হ্যাঁ যেতেই হবে ওর ঘরে।
কত বৃষ্টি, শত বাঁধা, হাজার প্রতিকূল
জম্নদিনে ওর মুখেতে ফুটবে হাসির ফুল।
এটা সেটা কত কিছুর কল্পনা যাই নিয়ে
কেমন করে সাজাই আমি, কোন ফুলটা দিয়ে।
ক্ষুধার জ্বালায়  হাহা করে খাইনি একটু জল
যাচ্ছি আমি ওর জম্নদিনে প্রাণ করে উচ্ছ্বল।
আরে তার জম্নদিন , আমার প্রিয়ের জম্নদিন
পৃথিবীর সকল ফুলে হর্ষ করে নাচছে ধিনাধিন।
ও আমাকে বলেছিল গলায় দিয়ে জোর
আমার মনের আনন্দ তাই নামে ঘন ঘোর।
'সারপ্রাইজ দিতে আসলে তুমি নিজেই হবে সারপ্রাইজ'
গিয়ে দেখি অন্য নায়ে খেলছে নৌকো বাইচ।
আমি বুঝিনি তো এতো নির্মম সারপ্রাইজও হয়!
কেমন করে এক মানুষের হাজার জীবন রয়!!
জীবন দিয়ে বাসছি ভাল তারপরেও রোষ?
জানেন ও কি বলে,ও যা করেছে তা নাকি আমার ছিল দোষ।


এধার থেকে ওধার ছুটি বের হয়ে যায় প্রাণ
এতোটা পথ হেটে এসে হলেম অপমান।
ভালবাসার মালায় মুছে ওর পায়েরই ধূলা
অহনিশি জ্বলতে থাকে যন্ত্রণার’ই চুলা।
কত চোখের জল, কত করি আত্ম নিবেদন
মুখে বলে ভালবাসি, পাষানির অন্যখানে মন।
শোনো বন্ধু শোনো, ভালবাসার চেয়ে যদি হয় গো বড় দেহ
এই দুনিয়ায় সত্যি ভাল বাসবে নাতো কেহ।
দেহ একদিন মিশে যাবে এই কঠিন মাটির পর
জানো, ভালবাসা তখন বাঁধে যুগান্তরের ঘর?
তুমি তোমায় বিলিয়েছ, দেহের সাথে করেছ আপোষ
তার পরেও বলবে তুমি, এ সবের জন্য আমার ছিল দোষ?