কথা ছিল যেদিন মুষলধারে বৃষ্টি হবে সেদিন--
হাতে ধরে হাত ছুটবো রাজপথ দিয়ে।
কখনো তোমায় বাহুতে তুলে চেয়ে দেখব
চোখের উপর বৃষ্টির ফোটা কেমন করে গড়িয়ে যায়।
আমার ঠোঁট দিয়ে সরিয়ে দিব তোমার ওষ্ঠদেশে
গড়িয়ে পড়া বৃষ্টিবিন্দু। তুমি এক ঝটকায়--
হাত ছাড়িয়ে ছুটবে পিচঢালা পথের বুকের পরে।
আমি শিকারি পাখির মত ছো মেরে ধরে ফেললে,
তুমি গড়িয়ে পড়বে রাস্তার পাশে জমে থাকা জল-কাদা
আর প্লস্টিকের স্রোতে। একটা শুকনো ভেজা পাতা
লেগে থাকবে তোমার বুকের উপর ঠিক যেখানে--
তোমার কালো তিলটি রয়েছে।
আমি মুখ দিয়ে সরাতে গেলে তুমি তোমার
চোখ ঢেকে রাখবে দুহাত দিয়ে।
দূর থেকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধেয়ে আসবে
শহরের ব্যস্ত গাড়ী। আমরা আবার ছুটবো হাত ধরে
ঘন বৃষ্টির দিকে।
জানো লাবণ্য; আজ অফিস থেকে ফেরার পথে
ঝমঝম বৃষ্টির কবলে পড়ে যাই আমি।
বাস থেকে নেমে গেলাম মানিক মিয়া এ্যাভিনিউর
চওড়া রাস্তায়। আজ আমার হাতের মুঠোয় তোমার
হাতটি নেই, কিন্তু আছে সেই স্বপ্ন।
আজ আমি ভিজলাম একা, আর তখন তুমি হয়ত
উষ্ণ পরশে গুলশানের ফ্লাটে।
হয়ত তুমি টেরও পাওনি আজকে মেঘের কান্না।
আমি অন্ধকার রাস্তায় একেঁছি তোমার ছবি-
বৃষ্টিরং দিয়ে। শুকনো পাতাদিয়ে ঢেকে দিয়েছি
তোমার বুকের কালো তিল।
তুমি হেরে গেলে স্বপ্নের কাছে। আর জেনে রেখ--
আমার থলিতে বন্দি অনেক বেপরোয়া স্বপ্ন।