মরুপ্রান্তে হেঁটে চলেছি আমি তৃষ্ণার্ত পথিক
ঝর্ণার শব্দ শুনে ছুটে যাই জল পান করতে।
হাতে আজলা করে জলকে তুলে ধরতেই
মনে হলো- এতো ঝর্ণার অশ্রুজল !
তাহলে ঝর্ণারও কী বেদনা রয়েছে মানুষের মত !!


চপলা-চঞ্চলা চির যৌবনা তুমি
কী এমন আঘাত রয়েছে তোমার হৃদয়ে?
আমি তৃষ্ণার্ত থাকবো
          হাজার বছর তৃষ্ণার্ত থাকবো
তবু তোমার অশ্রু পান করে পিপাশার নিবৃত্তি ঘটাব না।


ওগো দেবী, ওগো নেশাধরা চোখ,
আমি এক উদভ্রান্ত পথিক
আমি এক উন্মাদ ব্রাত্যজন,
আমি তোমার নীরব প্রেমিক
আমি তোমার শেষের দিনের সহযাত্রী।


আমি সূর্য্য থেকে সুখ এনে প্রলেপ দিব
     তোমার মনের ক্ষতে
সমস্ত পাখির কলতান দিয়ে ভাঙ্গাব
      তোমার হৃদয়ের স্তব্ধতা
সারা পৃথিবীর সমস্ত গোলাপ দিয়ে
       রাঙাব তোমার জীবন।
শুধু তোমার এক চিলতে হাসি দেখার জন্যে
     অপেক্ষা করবো অজস্র যুগ,
     পার করবো অগনিত সমূদ্র
যুদ্ধ ঘোষণা করবো কালরাত্রীর সাথে।
আর তুমি কাঁদবেনা, একটুকুও না
কোনো দিনও না.......।