(কামরুন নাহারকে)


সুনন্দিতা :
অরিন্দম আজ কেন সকালে ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছে তোমার, রাতে তাহলে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে ভালোই ঘুমিয়ে ছিলে?


অরিন্দম :
কোথায় আর ঘুমাইলাম! সারারাত শুধু লিখেছি আর তোমাকেই অনুভব করেছি। এতো ভূলে থাকতে চাইলাম! পারলাম কোথায় বলো?


সুনন্দিতা :
এই হল তোমার সমস্যা ভালো কিছু তোমায় বললে তুমি শুধু খোটা দিয়ে কথা বল; আমি কি বাবা বলেছি সারাদিনমান আমাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকো? তুমি কবি আবার সাংবাদিক সবমিলিয়ে অসাধারণ তোমার লেখা! যার কারণে তোমার প্রেমে পরেছি এবং আজও তোমাকেই ভালোবেসে যাচ্ছি।


অরিন্দম :
সুনন্দিতা ভালোবাসা কী স্থায়ী কোন কিছু? যার জন্য এখনো আমারি অপেক্ষায় থাকো! যদিও ভূল বলেছি বলে মনে হচ্ছেনা!


সুনন্দিতা :
আমাকে তুমি একটুও শান্তিতে থাকতে দেবেনা অরিন্দম? তুমি পারোও বটে এতো কথা যে কি ভাবে তোমার মুখ দিয়ে বের হয় জানিনা ; আমাকে না জ্বালালে তোমার ভালোলাগেনা তাইনা?


অরিন্দম :
কি যে বলনা সুনন্দিতা! আমি আবার তোমায় জ্বালালাম কোথায়, একটু সত্যি কথা বলবার চেষ্টা করলাম আর কি; ভালোবাসা যদি স্থায়ী ব্যাপার থাকতো তাহলে কেন সবাই একটু ভালোবাসার জন্য ভালোবাসা খুঁজে বেড়ায় বলতে পারো?


সুনন্দিতা :
অরিন্দম আমি তোমার মতো লেখক নই কিংবা সাংবাদিক। আমি শুধুই তোমাকে চাই আর সারাজীবন তোমারি থাকতে চাই। এই হল আমার এককথা বুঝলে কবি।


অরিন্দম :
রেগে গেলে সুনন্দিতা! তুমি রাগ করলে কেন জানি আমার ভালোলাগা, ভালোবাসা বেড়ে যায়।  প্রগাঢ়তা পেয়ে বসে শরীরে মনে আর প্রতিটি ভাজে শরীরের কোনে!  আমি সত্যিই ভালোবাসি আমার ভালোবাসার জন্য এক আটটি পদ্ম আনতে হয়নি কিংবা সুনিল দা'র মত রাজউৎসব করতে হবেনা।


সুনন্দিতা :
অরিন্দম আমি জানি তোমার ভালোবাসা আমার জন্যই শুধুই আমার।