প্রতিদিন ফুল হয়ে ফুটি বলতে গেলে সারাবছর।
কতনা সুরভীত ফুল কত তার পাতা
গাছটা এনেছিল কুড়িয়ে
আমার মা।
মা নিজহাতে লাগিয়েছিল তাকে
ছোট্টগাছ ছোট্ট একটি টবে।
কর্ম জীবি মানুষ আমার মা
কাকভোর বেলা থেকে রাত অবধি চলে তার সংসারের কাজ।
বাবাকে নিয়ে আলোচনায়
আসব পরে।
তিনি যে থেকেও নেই।
মা নেই সবাই কে রেখে
চলে গেছেন অমৃতলোকে।
আমার ছোট ভাইটাকে
অনুসরণ করে।
কেন যেন সবাই ছেড়ে চলে যায়।
সবাই গেলেও যায়নি সেই
শিউলি গাছ
রয়েছে সেই শিউলিতলা।
আগলিয়ে রেখেছে আমাদের।
এই গাছ আমাদের এক পরম বিশ্বাস আর ভালবাসা।
আমার এক স্বপ্নময় অনুভূতি।
এখনো গাছের দিকি তাকিয়ে
আকাশদেবতা দেখি।
গাছটাকে বড় ভালোবেসে
এত কাছাকাছি চলে এলাম
আমরা দুজনা হয়ে।
প্রতিরাতে গাছটার সাথে কথাবলি।
সবকথা তার সাথে ভাগ করে নিই।
সময় বয়ে যায় হিসাব থাকেনা।
একদিন মাঝরাতে শিউলি প্রশ্ন করল" আমার কষ্ট বোঝ?
তোমরা মানুষেরা এমন কেন? শুধুই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত?"
উত্তর কি দেব ভেবে পাই না।
রাত শেষ হয় ফিরে তাকিয়ে থাকি সন্তানের দিকে।
সকাল হয়.... আবার সারাদিনের কাজ।
এখন দিনের কাজের শেষে
শিউলিতলায় বসি।
ওর প্রগাঢ আহ্বান ভালবাসাদিয়ে আঁকি
আগমী দিনের স্বপ্ন।
এখন শিউলি অনেক বড়
এক সাথে পথ চলি আমরা।
শিউলি বিছিয়ে রাখে তার ফুল।
আমাদের পথকে করে রাখে
মধুর মসৃণ সুগন্ধময়।
সবাই মিলে হেঁটে যাই সেই পথে।
যার শেষে অপেক্ষায় আছে
কোন স্বপ্ন মানুষ
যে অপেক্ষায় আছে
আমাদের জন্য
তার দুহাত বাড়িয়ে।