কুলির ছেলে রহমান
অনেক নম্র্র ভদ্র,
ধনির দুলাল সলেমান
নম্র ভদ্রে অজ্ঞ।


একবেলা অন্ন জোটে
অন্যবেলা অনাহার,
কুলি বুকে স্বপ্ন পোষে
সন্তান করবে অফিসার।


সলেমানের মাথায় নাকি
ধরেনা লেখা পড়া,
লেখা পড়ার দরকরাই কী
টাকা আছে তাড়া।


ওতে ঘাতে শুরু তাহার
ধুমপানেরই নেশা,
টিচার নাকি পাঠদানে
দেই শুধু ধুঁকা।


পিতাক সদাই শ্রদ্ধা করা
রহমানের পেশা,
ঘাম ঝরানো টাকা দিয়ে
করে লেখাপড়া।


পিতার অঢেল সম্পত্তি
সলেমানের নামে,
শ্রদ্ধা ভক্তি পায়না পিতা
গুরু জনের কামে।


বিদ্যার্জন করতে রহমান
পাড়ি জমায় ঢাকায়,
সেরা স্টুডেন্ট ছিল তিনি
ভার্সিটির শাখায়।


জমি বিক্রির মোটা টাকায়
কেনে সলেমান হুন্ডা,
বামপন্থি দলের শাখায়
সে বড় গুন্ড।


মদ জোয়া হিরোইন
নেই কিছু তার বাকী,
নেশার বিষে জীবন পোড়ে
পিতা দেখে তাকি।


বিদ্যার্জন শেষে রহমান
কর্ম জীবন শুরু,
সেই সংসার আলোকিত
করলো পিতা গুরু।


পিতার আসা হলো পূর্ণ
সন্তানেরই তরে,
সু-সন্তান স্বর্গ আনে
বলি দ্বারে দ্বারে।


সলেমানের করুন চিত্র
দেখাব কি আর লিখে,
শেষ বয়সে সলেমান
করে গেল ভিক্ষ্যে।