১,    আমি নেয়ে নায়ের মাঝি বনমালী হরি
               বান-বাদলে ঝড়ের সাথে লড়ি
বনের মাঝে পাকপাখালির ভিড়,
তারই প'ড়ে বসত আমার ছোট্ট কুটির
দিনের বেলা সূর্যি মামা, রাতে শশির
                আলোর মেলা করে গড়াগড়ি
    
       বাদলদিনে শ্রাবণধারায় বর্ষা উঠে জেগে
   রইনে প'ড়ে আপনা তরে ছুটি সবার আগে
ঘরবাড়ি আর সবি ফেলে আমরা সকল জেলে,
ধাই ধপাধপ ছুটে বেড়াই দূরের মোতিবিলে
ছলছলিয়ে কলকলিয়ে জলের কোলাহলে
         কাঁচাসোনা রোদের ছায়ায় ভিজে মেঘে মেঘে


       ডানাবিহীন পাখি আমি উড়ি মনে মনে
           দূর হতে দূর বহুদূর ঘুরি বনে বনে
হাওয়ার সনে বলি কথা মনের যত সুখ,
পাখি হয়ে উড়ে তারা উড়ুক উড়ুক
তাদের দুখে যায় ঘুচে আমার সকল দুখ
    তাদের সুখে হাসি আমি, হাসি ক্ষণে ক্ষণে


    



২,


আমি খুব সহজ করে বাংলায় বলি
মায়ের ভাষায় ভাইয়ের ভাষায়
বলি প্রাণ খুলি।


বাংলা আমার মায়ের ভাষা
প্রাণে আছে মিশে,
সোনাতে নয় কড়িতে নয়
পেলাম বলো কিসে ?


পাখি ডাকে নদী বলে, তবে
কোথা পেলে ভাই ?
নানা দেশে নানান জাতি- এতো
মধুর ভাষা শুনি নাই।


চাষা-ভুষার প্রাণের দাবি
মায়ের ভাষায় হাসা,
বীর শহীদের রক্তে কেনা
আপন বাংলা ভাষা।