হে মজলুম, আমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবো
ন্যুব্জপীঠ অন্ধ পৃথ্বী আজ আমার চরন তলে,
সাইবেরিয়া প্যালেস্টাইন বিশ্ব পাড়ায়ে
জন্মেছি আমি; বাংলার ঔরস সবুজ-শ্যামলে।
কুয়াশা টেনে ছিঁড়ে ফাঁক করে চোখ মেলে-
তার ভেতর, আরও ভেতর তুমি দেখেছ কি?
হেমন্তের পাতা ঝরা কান্না'- জলপাই, হরিতকী
র' মিহি মিহি স্নান; এঁদো অন্ধকারে দরজা,
পাঁচিল ছুঁইয়ে!_'শীতের অঝোরে ঝরা ভেজা
বরফের খইঃ' বাসন্তী সরসতার ওপর ঝরে
পড়া সূর্যের উষ্ণতা;বিশ্বচরাচর কুঁকড়ে ঝরঝরে
উড়ন্ত মেঘের ডানার মতো, -ধীরে ধীরে এসে
ঝিমিয়ে পড়ে যার শরীরের উপড়, কেঁদে শেষে
সমগ্র বিশ্ব হাহাকার আর আর্তনাদে 'ক্ষেত-ভরা
গমের শীষের মতো নুইয়ে বাংলার চেহারা
ও তাঁর লাল রঙ সবুজ ঘাসের দুদণ্ড স্বাদ চায়।
চিল যত দূরে উড়ে- দৃষ্টি যত' যত' দূরে যায়...
তুমি দেখ কি?"তুমি দেখেছ কি অপার ভাণ্ডার!
যেখানে ব্যাবিলন, কাশ্মীর, সপ্তআশ্চর্য কিসেকার?
এযে স্বর্গের___নিপুণ___কারুকার্য____
নিদারুণ (অপার বাংলা) গ্রাম বাংলার;___"
আমি কোনো কবি নই!_ আজ বলতে এসেছি;
আমার জন্ম এই বঙ্গের কোনো এক কোণে,
আরবার, বিশ্বশিরপায় বাংলা দেখি আমিঃ
দেখি ভূলোকে গোলকে নীলাভ্র নবগনে ।