বিজন গাঁয়ে নিদারুন সুবিশাল এক মাঠ,
মাঠ ভরা অগ্নিঝরা অষ্টপ্রহরের ঝলমলে রূঢ় রোদ
চাইনি আমি; আসপেন, অশ্বত্থ ধুন্দুলের
ছোঁয়া রিনিঝিনি শ্রান্ত বিষ্টি চেয়েছিলাম____
চেয়েছিলাম ধূসরিত শালিক: অতিদূর
উড়ার পর ক্লান্ত পথিক উষ্ণতায় খুঁজে যার নিরাপদ ।


শাওন মেঘের নাওয়ে একপায়ে দাঁড়িয়ে
ক'জোড়া বুনোহাঁস নিয়ে একরাশ রক্ত পিপাসীনিকাম,
চোখে তার দেদার স্বপ্ন পাথরচাপা বেশে
মরীচিকার মতো সূতীক্ষ্ম ভাবে এঁকে রয়ে____
জেনিসের সুহাসিনী রূপ সেথা পলক ঘেঁষে
কেবলই অথর আর নিথর ঝরো ঝরো ঝরছে অবিরাম ।


অমরা-ফাল্গুনির বনে ঘুরে দেখেছি আমি,
কত পারিজাত: আর রাশি রাশি বিশুদ্ব ফুল আছে চেয়ে !
ঈশ্বরপুরী, আলোরাধা, জোছনার জ্বলা
বন উদাসি সরস আমি দেখেছি অনেক____
দেখেছি শ্বাসতী, অনুরা, অশ্বিনী, বেহুলা
শ্রাবন্তী, ধনিষ্ঠা সদ্যফোটা কুসুমবনে ঘুঙ্গুর পড়া পায়ে ।


বিশ্বচরাচর আজ রয়ে চাঁদের থালায়
দেখি; রয়ে ভয়ঙ্করি মূরতি রূপের দূর্গা আরো কতেক...
দেখি সব তোমার বৈরুত চোখের ভেতর
নীরব নিঃস্বঙ্গ সকলেই, করে হা-হুতাশ____
তোমাতে পাই সকল প্রেম, পূর্ণ-নারীশ্বর
স্বপন-বিহারিণী দেবী তুমি; কামনা মূরতি আমি এক ।


তোমার নীলাভ ব্যথিত বৈকুন্ঠ, নৈসর্গিক
দু'চোখে: বুঝি বহিছে দীর্ঘ পূবেল বাতাস,
যেথা,ছল-ছল জল করিছে খেলা দুলিছে
রণতূরী, মম মত্ত গঙ্গার তরঙ্গ-উচ্ছ্বাস ।।




______
২৫/০৪/১৭
কচুয়া,চাঁদপুর