ইশ্বরদীর মেয়ে ইথিলা,
খুলনাগামী রুপসা ট্রেনে তার সাথে প্রথম দেখা।
মেয়েটা উজ্জাল স্যামলা।
গায়ে ছিল হলুদ শাড়ি, মাথায় হিজাব বাঁধা।
দু-ভুরুর ম্যাঝ পথে ছোট্ট কাল টিপ,
যেন তিলের ফোটা।
ঐ আকা বাকা ট্টোটে
জানিনা কোন প্রোলেপ মেখে রয়েছে ভেজা।
তার কাজল টানা আঁখি আর রুপের নেশাই
মাতাল এ ভরা রুপসা।
মুখো মুখি বসে আছি হারিয়ে মুখে ভাষা।
লাজুক চোঁখে উদাস মনে
জানালার দিকে চেয়ে থাকা।
তবে মাঝে মাঝে ভদ্রতার বেড়া জাল ভেঙ্গে
বেহায়ার মত তাগিয়ে দেখা।


হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া,
গায়ের উপর অনুভাব করলাম জলের ফোঁটা ।
বন্দ করিতে দরজা জানালা,
চারিদিকে পড়েগেছে জনতার তাড়াহোড়া।
আমাদের পাশের জানালার নায় কোন পর্দা।
আমি উঠে খুঁজতে গেলুম বসবার ভালো কোন জায়গা।
হঠাৎ এক যুবক ছেলে তার বসার জায়গা ছেড়ে বল্লু,
এই যে,এখানটা ফাঁকা।
মেয়েটা জায়গা পেয়ে মিষ্টি হেসে
বল্লু ধন্যবাদ ভাইয়া!
ছেলেটা আনন্দে দিশেহারা,
একটু কেশে ঘাড় নাড়িয়ে দিল সাড়া।
আমি এক হীনসুটে মনে কিছুটা ক্ষিপ্ত ছেলেটার উপরে।


ঝিকঝিক রুপসা শিতল আভাসে
শিরশির দেহ  থরথর কাপে।
পোড়াদহ পার হতেই বৃষ্টি থেমে সুর্য্য হাসে।
মেয়েটা দীর্ঘ শ্বাঃস ফেলে
বল্লু, ওহ! সুর্য্য উঠেছে।
আবার দুজনা ছামনা ছামনি বসে,
দুজন দুজনাকে দেখছি আড় চোঁখে।
কিছুটা লজ্জা কথা বলার প্রবল তৃষনা হৃদয়ে।
তবে বল্লতে পারছিনা কোন সে ডরে?
চুয়াডাঙ্গা পার করে কিছুটা সাভাবিক ভাবেই বল্লুম,
কোথায় যাবেন?
কমলা ঠোট্টে মিষ্টি হেসে বল্লু যশোর,আপনি?
আমি পায়ের উপর পা তুলে বল্লুম,
যশোরের এক স্টিশন আগে, বারবাজার।
আমি তার নয়নে নয়ন রেখে বল্লুম
যশোরের কোথায় যাবেন?
সে একটু নড়ে বসে ছামনে এসে বল্ল বিমানবন্দরে,
ওখানে আমার বড় আপু থাকে।
হঠাৎ দেখি একটা মাজালি তার স্কাপে,
আমি হাত বাড়িয়ে ছুয়ে দিতে
সে যেন ভয় পেয়ে উঠল কেপে।
রাগোন্নিত চোঁখে তাগিয়ে আমার দিকে।
আমি ভয়ে কম্পিত সরে বল্লুম পিপড়া ওখানে।
টলমলে জল তার চোঁখের কোনে
আমাকে অবিশ্বাস করে কেঁদে দিল সে।
আমি কিছুটা হতাশ ডরে,
কি জানি কি ঘটে গেলো ছোট্ট একটা ভুলে।
এবারি কি ভাঙ্গবে হাড়ি, এ ভরা রুপসাতে।
কত শত ভাবনা জড়ো হলো মনে।
ওপাশ থেকে সেই ভদ্র ছেলে
ছুটে এলো আমার দিকে আক্রশে।
মেয়েটার কাছে এসে বল্লু, কি হয়েছে?
মেয়েটা কোন জবাব দিলনা মুখে,
তবে আঁচল দিয়ে দুচোখের অশ্রু নিল মুছে।


ছেলেটা আমার  দিকে চোঁখ রাঙ্গিয়ে বল্লু,
এই তুই কি বলেছিস ওকে?
আমি তো বিষস্মিত তার আচরনে।
হঠৎ মেয়েটা মুখ খুলে বল্লু তাকে, এই যে ভায়!
আমি কি বিচার দিয়েছি আপনার কাছে?
তাহলে এখানে কেন,
আপনি যান না আপনার কাজে।
ছেলেটা তখন ঘাড় নামিয়ে ফিরলো নিজ স্থানে।
মেয়েটা মায়াবি চোঁখে নম্র সরে বল্ল দঃখিত!
আপনি কিছু মনে করবেনা তার আচারনে।
আমি বল্লু না না ঠিক আছে।
ভুল করলে তো ভুলের সাজা পেতেই হবে।


ঝকঝক রুপসা শনশন বাতাসে,
মুখে হাত রেখে চেয়ে আছি জানালার ও পাসে ।
দর্শনা পার হতেই যেন হকার আর ভিক্ষুকের মেলা জমেছে ।
আমি ১০টাকার বাদাম কিনে রাখলুম হাতে।
হটাৎ মেয়েটা উহ! বলে শব্দ করে,
সেই পিপড়াটা মারে। সংক্ষেপ,,