ওগো, শুনছো কি ?
মেলে দেখ আঁখি
চারিদিকে ঝলমলে রোদ্রের  ঝলকানি
মৃদু মৃদু বাতাসে চলনা একটু হাটি !
আমি সেই প্রভাতে উঠে, সংস্বারে সব কাজ গুছিয়েছি ।
আর এখনো অলসের মত পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছ তুমি
এই, ওঠনা !
দেখ, তুমার জন্য চা বানিয়েছি ।


নয়ন বুজে ডান হতে বামে ঘুরে
ঘুম জড়ানো কন্ঠে বল্লাম,
ওহ খুব ঘুম পাচ্ছে একটু ঘুমিয়ে নিই ।
হঠাৎ কানের উপার অনুভব করলাম জলের ফোটা ।
আতঙ্কে  ঘুম ভাঙ্গতেই দেখলাম আমার বাড়িওয়ালী সুর্বনা ।
ভিজা চুল হাতে
কানের উপর দিচ্ছে নাড়া ।
আমার ঘুম ভাঙ্গতেই,
সে মিষ্টি হেসে বল্ল কি হলো, ঘুমাবেনা ?
আমি হাত বাড়িয়ে করেছিলাম ধরার চেষ্টা
কিন্তু ,পারলামনা ।


সে দিন নিউ মার্কেট থেকে
একটা মোটা রঙ্গিল শাড়ি,
নিয়েছিলাম দুইশত টাকা দামে ।
বিয়ের চৌদ্দ মাসের মধ্যে
এখনো কোন বস্ত্রই দেওয়া হয়নি তাকে ।
তার বাবার বাড়ি থেকে আনা
হাজার টাকা দামের অনেক গুলা শাড়ি
সাজানো আছে তার আলমারি থাকে থাকে ।
বড়লোক বাপের একমাত্র মেয়ে,
তাই অভাব কি জিনিস বুঝিনায় বিয়ের  আগে।
আমাকে বিশ্বাস করে ভালবেসে
ত্যাগ করেছিল তার মাতা পিতাকে ।
আমিও তার বিশ্বস রেখেছিলাম
তাকে অন্ধের মত ভালবেসে ।