বাজার থেকে বাড়ি ফিরে
শাড়িটা যখন দিলাম তার হাতে
শাড়িটা নিয়ে দুচোখের জল ঝরিয়ে
ছুটে যায় ঘরে ।
আমি দরজায় দাড়িয়ে দাতের উপর দন্তো চেপে
চেয়ে আছি ঘুরনিওমান পাখার দিকে ।
হঠাৎ দরজা খুলে বেরিয়ে এলো সুর্বনা ।
তার পরনে আমার দেওয়া শাড়ি,
চুলের বেনি খোলা ।
টানা টানা আখি আর টোট দুইটা কমলার কোয়া ।
কি অপরুপ আমার সুর্বনা!
কাছে এসে মিষ্টি হেসে বল্ল,
কেমন  হয়েছে বলনা!
আমি যেন আনন্দে আত্তহারা
তাকে বুকে নিয়ে বল্লাম
আপরুপা সুনন্দরি, তোমার হয়না কোন তুলনা ।


যানিনা আমি কতটা ভালবাসি তাকে !
তবে, বিয়ের আঠারোটা মাসের  একটা রাতও কাটায়নি তাকে ছেড়ে ।
তোমার ছিল একটা সন্তানের ইচ্ছা ।
ছেলে কিংম্বা মেয়ে সেটা কোন বিষয় না ।
তার নাম রাখবে তোমার আমার নামের সাথে মিলিয়া ।
তাকে নিয়ে পার করে দিব
আমাদের এক ঘেয়েমি জীবনটা ।
সুর্বনা তোমার মেয়ের আজ বয়েস দুই,
মুখের বুলিতে আসে মা,মা,
তুমি কি শুনতে পাওয়া ?
যার জন্য এতো আশা ,
হাজার কষ্ট সহে ত্যাগ করলে সাধের দুনিয়া ।
তার মুখটা দেখার সৌভাগ্যও তোমার হলোনা ।
তুমি হাসপাতালের বিছানায় সুয়ে,
আমার হাতটা ধরে মাথায় নিয়ে বলেছিলে শোন,
আমার মাথায় হাত রেখে দাও একটা কথা !
আমি মরে গেলেও তুমি আর বিয়ে করবেনা ।
তুমি অন্যো কারো হবে
এটা মরার পরেও মানতে পারবো না  
সুর্বনা আমিও তোমার জায়গায় অন্যো কাওকে বসাতে পারবনা ।
পরোজনমে বিধাতার কাছে আমার ছোট্ট চাওয়া
সেখানে যেনো থাকতে পারি একসাথে আমরা দুজনা ।