পূর্ব পাড়ার ভদ্র পল্লীর বাসিন্দা
দুঃখ দারিদ্র এখানকার মানুষের নিত্যপূজা।
তবে বাহির থেকে বোঝার নায় কোন উপায়
মুখে হাসি রেখে সুখে থাকার অভিনয় করে সবাই।
কেহ হাল চাষ করে, কেহ নদীতে জাল টানে
কেহ চটা চেছে বেড়ি বোনে, কেহ ভাঙ্গা নাওয়ে বৈঠা মারে।
মেয়েরা খেজুরের পাতার পাটি বোনে, আর পুরানো ছেড়া কাপড় দিয়ে নকশিকাঁথা তৈরি করে।
সারা দিনে একবার চুলাই আগুন দেয়
আর তিন বার পেটের জ্বালা মিটায়।
সকালের পানতা ভাতে আস্ত একটা লঙ্কা
কাচা মরিচ ডলে হালকা নুনের ছিটা।
কারো আবার তাও জোটে না
এক মুঠো শুকনা চিড়াই জল মিসিয়ে হুতাসে খেয়ে নেওয়া।
আমরা পূর্ব পাড়ার ভদ্র পল্লীর বাসিন্দা
সন্ধা হলে পাড়ার মোড়ে মোড়ে
নড়বড়ে চায়ের দোকানে চলবে মজলা
পায়ের উপার পা তুলে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে উড়িয়ে দিবে
সারা দিনের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের একঘেয়েমিতা।
ছাল ওঠা একমুঠ তাস নিয়ে বসে পড়ে জোড়া জোড়া
কারো মুখ ভরা পানের দলা
একফসলা চিপ ফেলিয়ে ভঙ্গিমা নিয়ে বলছে কথা।
কেহ বিড়ির পোছায় টান দিয়ে
উড়িয়ে দেয় বুকের জ্বালা
যে যার মতো বলতে থাকে সারা দিনের জমানো কথা
একজন আর একজনকে নিয়ে করে রসিকতা।
এরি মাঝে পার হয়ে যায় তিন চার ঘন্টা
তারপর ঘুম ঘুম চোঁখে বাড়ি ফেরা
আরামের একটা ঘুমে বিদায় দিনের খেলা।
আমরা পূর্ব পাড়ার ভদ্র পল্লীর বাসিন্দা।