দশমাস দশদিন নয়!
এখন প্রতিনিয়ত’ই;
জন্ম নিচ্ছে টেররিস্ট।
যে মাটি একসময়
দেশপ্রেমিক জন্ম দিতো,
সে এখন অবলীলায়;
কোনরুপ প্রসব বেদনা ছাড়াই
জন্ম দিচ্ছে টেররিস্ট।
পিতার সামনে কন্যা
পুত্রের সামনে মা,
সম্ভ্রম বাঁচাতে যখন করে
গগন বিদারী চিৎকার!
তখন সে চিৎকারের প্রতিটি স্বরভঙ্গি থেকে
জন্ম নেয় টেররিস্ট!
অনাহারী কঙ্কালসার মানুষের চোখ যখন
চুষে খায় কোন ভয়ঙ্কর অর্থলোভী শকুন,
তখন সে চুষে খাওয়ার
প্রতিটি চুক্ চুক্ শব্দ থেকে
জন্ম নেয় টেররিস্ট!
জন সেবার নামে
স্বার্থরক্ষার সংগ্রামে,
কিছু স্বপ্ন বিলাসীর রক্তে যখন
পথের ধুলো সারে জৈব স্নান
তখন সে ধুলো আর রক্ত কণিকা থেকে
জন্ম নেয় টেররিস্ট!
অধিকার যখন মুখ থুবড়ে মরে!
কাঁদানে গ্যাস যখন
লাল করে ভালোবাসার চোখ!
বাংলার রাইফেল থেকে বেরয় যখন
ভিনদেশী বুলেট,
তখন অসংখ্য শুক্রাণু গলে পড়ে
পথের পিচে।
একমাত্র টেররিস্ট জন্মাবার প্রতীক্ষায়!
অন্ধ আইন আর অন্ধ হাকিমের
সাপ লুডু খেলায়;
দেশপ্রেম যখন ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলে!
তখন সে রজ্জুর প্রতিটি সুতোয়
জন্মাতে চায় টেররিস্ট ।
চুক্তি স্বাক্ষরে যখন;
সাধারণ জনতা হয় ওসমান
তখন কুচক্রী জোঁকের লবন হতে চায়
দেশ বিরোধী টেররিস্ট।
হ্যাঁ; সময়ের নিপীড়নে
মাটি এখন আর দেশপ্রেমিক
জন্ম দিতে পারেনা।
মুষ্টিমেয় শকুনের শিৎকারে
জন্ম দিচ্ছে টেররিস্ট !