এখনও যুদ্ধ হয়নি শান্ত!দীর্ঘ্ সংগ্রামের সমরে
যে-বিজয় নিঃশব্দে ঝরে পড়ে
মলিনলাবণ্য স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার মমতা,
যে-স্বাধীনতা আজ তুচ্ছ, অর্থহীন শব্দ
হৃদয় ক্ষরন হয়ে ওঠে,
যোদ্ধা ব্যথিত হয়, মাথা নিচু হয়ে আসে, যে বিজয় তৃষ্ণার্ত্ রাখে
মরু চর জাগে,দ্রোহের আগুনে বরফগলা হিমাচল!
তপ্ত দহে স্বাধীনতার ফুল!
যে বিজয়ে জ্যোৎস্না ঢেকে যায় বিদ্রোহী মেঘের আড়ালে!
জেগে ওঠে অতলান্ত অন্ধার মায়ের বুক  থেকে
তখনও বুঝিনি তাকে,কি এক ত্যাজদীপ্ত সূর্য্ হারালাম
যার খোঁজে আজো রাত্রি পরাপার,
দিশাহীন মাঝি - মাল্লা কূলহীন নোঙ্গর যাত্রী!
মুক্তি যুদ্ধে যে বিজয় পেয়েছি
সে -ই তো লাল-সবুজে দ্বীপ্ত শিখা জ্বালিয়ে।
সে এক অমর কান্ডারী! সংশয়-দ্বিধার বাইরে
আলোকবর্তিকা জ্বালে, বিদ্রোহীরা তার পায়ে মাথা কোটে,
তার স্পর্শেই বিজয়ের ফুল ফোটে
সে-ই তো বজ্র কন্ঠে গর্জে ওঠে
পদ্মা, মেঘনা ,যুমনা, গঙ্গায় -শহীদে শহীদে রাঙ্গালে
সে এক দুর্বার কালজয়ী ইতিহাস,
সে-ই তো লাল-সবুজের  প্রতিনিধি।
যে দিয়েছিল বাংলার স্বাধীনতা ।
সে-বিজয় আজ নিঃশব্দে কাঁদে
এখনও যুদ্ধ হয়নি শান্ত!দীর্ঘ্ সংগ্রামের স্বাধীনতা
এখনও পায়নি বাঙ্গালী!
কি যে নাম মনে নেই তা তো—
পাকিস্তানী দোসর কিংবা পরাজিত মাহাতো
অথবা বিশ্বাস ঘাতক।আজও মাঠে মাঠে ষড় জাল ছড়িয়ে
তারা বিস্তৃত লাল-সবুজে বিদ্রোহী বুলেট হাতে নিয়ে।
বিজয়ের সমস্ত সুখ,আজ মৃত্যুর উপতক্যায়
সে নেই, বিজয়ও নেই,স্বাধীনতা অবরুদ্ধ।
এখনও যুদ্ধ হয়নি শান্ত!বাংলার প্রান্তরে প্রান্তরে
যে-বিজয় আজও নিঃশব্দে কাঁদে।
এখনও যুদ্ধ হয়নি শান্ত! এখনও বিজয় নিঃশব্দে কাঁদে।
--------------------