হে মনুষ্যত্ব পরিচয় মানবের, পূজারী সত্যের,
এত মহত্ত প্রাণে তব,তবু নাহি প্রাণ মুক্তির!
এত শিক্ষা- দীক্ষা তব নতশির করে সম্মান,
শ্রেষ্ঠত্ব! তবু কি তব মিটালে না প্রাণ?
লোভ - লালসা গ্রাসিয়াছে মহত্ব তার বাকী!
আলো নাই আঁধার প্রাণে ছুটিছে পাখি!
হে মনুষ্যত্ব! খোলো খোলো সত্যের দ্বার!
পৃথিবীর শান্তি, ওপারের মুক্তি, দাঁড়ায়ে দুয়ারে করে প্রতীক্ষা তোমার।
কিন্তু তুমি দেখ শুধু এ ধরনীর কোলাহল
ক্ষণিক স্বার্থ্  মিটাবার তরে তুমি বিভোল!
অথচ তোমার  প্রাণে  নেই মনুষ্যত্ব প্রকাশের গীত’
দেখিতেছ ধরণীর সুখ, দেখছ না ওপারের ভীত!
হে মানব, হে মনুষ্যত্ব-কি তোমার ভবিষ্যৎ?
হে মনুষ্যত্ব পরিচয় মানবের, পূজারী সত্যের উদাসীনবৎ!
জেগে ওঠে তব বুকে তরঙ্গের মতো
নীতি- ভঙ্গ, ব্যবিচার –অত্যাচার, এ প্রাণে হেরিছ সতত!
হে মনুষ্যত্ব, এ পবিত্র ধরনী, আজ তোমার স্পর্শে শ্রীহীন,
প্রাণের স্পন্দন পাষাণসম,তোমাতে দেখি অসুরের অভিমান!
জগতের যত অন্যায়-অত্যাচার
হে মনুষ্যত্ব, নিঃশেষে ভাঙ্গিয়া গেলে মু্ক্তির দুয়ার!
ন্যায় বিচার, হক বন্টন, তব তোমার আলো!
তাহারে অন্তে যপে তুমি এসে পাল তোল।
মানবের মনুষ্যত্ব বিধাতার প্রিয়তম
যে কিন দোলে মুক্তির দুয়ারে অনুপম!
হে মানব, হে মনুষ্যত্ব-কি তোমার ভবিষ্যৎ?
------------------------------------------------