কোন দূর আহ্বানে তোমার মধু চন্দ্রিমা
ধরাকে এতিম করে! পারি দিয়েছে সীমা
প্রেমিক প্রেমিকার সুর-পরী বিরহ-বিধুর
বিলাপ করে হে ধরনী জল আসে মায়ার!
একাকী পথ চলিছ তুমি ওপারে যাবার,-
তোমার পদধ্বনি, হৃদয়ে বাজে আমার!
স্মৃতিতে জাগ্রত তৃষ্ণাবিষ,আপনেরা বেতাল
তোমাকে হারানো বেদনায় আশেকেরা পাগল!
ব্যকুল প্রাণের উত্তালে শুধু বেদনার ছবি
শিরা উপশিরায় বহিছ তুমি- হে স্নেহের কবি।
আমাদের বুকে তুমি দিয়ে গেছো পিপাসা
কত খোঁজি এদিক সেদিক চারিদিক হতাশা!
আজো উপস্থিতি দেখি প্রাণের স্পন্দনে স্পন্দনে!
মায়ের কোলে পিতার স্নেহে প্রেয়ষী সন্তানে..
প্রেমের বন্ধন তীরে নোঙ্গর করিবার তরে
চিরন্তন মায়াসৌধে রেখেছি ভ্রাতা”নাজমুল” তোমারে।
হে মানব রূপী অনুজ, এ ধরণী তুচ্ছ অভিলাষ,
দুদিনের আশা ক্ষণিকের স্বপ্ন,আকাঙ্কা, উল্লাস,
প্রেমের দৈন্য- জ্বালা-জয়-পরাজয়,
আদর- সোহাগ- হাসি- কান্না শত সঞ্চয়,-
এ স্বর্গ্ তব হল ছারখার।
হৃদয় স্পন্দনের উত্তাল বক্ষে, মরু চর পিপাসার!
বিধাতার  নিয়তি ফ্রেমে প্রাণেরে দিয়েছো আহুতি।
মোর প্রার্থ্না প্রভূ যেন তোমারে করে চির মুক্তি।
তোমার কত স্মৃতি লয়ে এ ধরনী সবে জাগি
বসুধার ক্ষণিক কূপে আঁধারে আলো রাঙি!
আজ তুমি উড়ে গেছো, তুমি আছো আহা!
তপ্ত নীড়, মুরুর তৃষ্ণা,- বেদনার হাহা!
কাঁদে ধরনী- হৃদয় রাঙে- যম দুতের কুয়াশা!
ওহে মানব, কে জানে? কবে  আসবে সর্বগ্রাসা!
কত অনুজ, কত অগ্রজ প্রাণ নিতেছে তুলিয়া
প্রিয় প্রাণের বক্ষচিড়ে দেখেনা আপন প্রিয়া।
ভয় নেই প্রিয় অনুজ”নাজমুল” বিধাতা দয়াময় অপার!
একই পথে আমি- তুমি- সবে বিধি মহিমার ।
ফরিয়াদ করি মুক্তি যেন আসে অনন্তের পথে পথে
প্রভূ ডাকে কেবা রবে বল এ ধরনীর সাথে?


--------------------------