ক্ষুদ্র মানব তুমি-
হাজারো রকম প্রাণিদের কোলাহলে বিচরণ।
ক্ষুদ্র এ পৃথিবী-
এমন অনেক জ্যোতিষ্ক রয়েছে সৌরজগতে।
হয়ত এমন অনেক ব্রহ্মান্ড রয়েছে এই মহাশূণ্যে!
এমনি হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খায় মনে।
মহাশূণ্য কি মহাকাশ? না কি অনন্ত?
যুগ যুগ ধরে চলছে কাল্পনিক ব্যাখ্যা!
কোটি কোটি বছর আগে মৃত্যু হয়েছে যে নক্ষত্রের
সে ভেসে রয়েছে মহাশূণ্যে।
উজ্জ্বল তারাগুলি যেন প্রতিনিয়ত হাতছানি দেয়,
ইশারায় বলে-চলে এসো এ জগতে-
কোটি কোটি বছর আগে-
না জানি আরো কত প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছিল
পৃথিবীপৃষ্ঠে উল্কাপাতের আঘাতে।
মহাশূণ্যে আছে একটি বিশাল অথচ অদৃশ্য জাল,
যে জালে জড়িয়ে রয়েছে সূর্য, চাঁদ, তারা, গ্রহ, নক্ষত্র।
তেমনি অদৃশ্য মায়াজালে আটকা পড়ে আছি আমরা।
পড়ে আছি শুধু পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশে।
কে জানে হয়ত আরো অজানা কোন গ্রহ,
মহাকাশের কোথাও লুকিয়ে রয়েছে।
হয়ত কোনদিন সন্ধান মিলবে অন্যকোন পৃথিবীর।
হয়ত সেখানে রয়েছে কোন বুদ্ধিমান প্রাণী।
হয়ত তারাও জানেনা আমাদের কথা।
মহাশূণ্যের কোনখানে, কোনকালে
হয়ত প্রাণের অস্তিত্বও মিলে যাবে।
কেমন হবে সেই ভিনগ্রহের প্রাণীরা?
সেখানে কি আকাশ, নদী, সাগর, পাহাড় রয়েছে?
আছে কি অক্সিজেন, পোষাক, পড়াশুনা, ডিগ্রি...
আছে কি কোন পেশা- ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার....
আছে কি অর্থ, ক্ষুধা, দারিদ্রতা?
নাকি তাদের শরীর খাবার চায় না!
এমনই কত প্রশ্ন জমা আছে এই হৃদয়জুড়ে!
কেন করছি এত হানাহানি? কিসের তরে?
গ্রন্থাগারে একই তাকে থাকে-
কোরান গীতা বাইবেল ত্রিপিটক।
যারা পড়েনা, তারা লড়াই করে মরে।
মুহাম্মদ, যিশু, কৃষ্ণ, বুদ্ধ এরা বিশ্বের সম্পদ,
আমরা তাদেরি বংশধর, তাঁদেরি মতন দেখতে আমরা,
কোথায় ছিলাম, কোথায় এলাম, যাবই বা কোথায়?
মিথ্যে খেলায় মেতে কি আছি,
প্রহেলিকার অন্ধজঠরে?
দানিব কাহারে অর্ঘ্য?
করিব কাহার নান্দীপাঠ?
এ যেন শুধুই প্রহেলিকা!