নিস্তব্দ,নিঝুম, থম থম রাত
তমসা প্রসারিছে তমপ্রায় হাত ৷
নিজ কায়া দেখে ক্ষণে ক্ষণে
বিষম বিরম্বনা জেগে ওঠে মনে ৷
মোর এ দেহ যেন লওয়া ধার করে
মগজটা যেন নাহি বসে শিরঃপরে!
সহসা ছুটিল প্রান স্নিগ্ধ শীতল বায়
কে ওরে কে ওরে আধারেতে ধায়?
ত্রাসিয়া উঠিল মন তক্ষক স্বরে,
ধবল পোষাকে কে গেল যেন উড়ে!!
ঘন তমসায় ডাকিলাম তারে
বুঝিলাম না তবু ডাকিতেছি কারে ৷
শুভ্র বসন গায়ে আসিল সুন্দর,
সহসা দেখিয়া তারে ত্রাসিল ভেতর ৷
কে সে দেখিতে যেন আমারই মতন!
সহসা চেতনা মোর লভিল পতন,
তবু নাহি জাগিলো জাগিলো চেতন
অভ্র হতে ভীম বারতা হইল বর্ষন ৷
শুধালো মোরে,
কেন করিল পর ছিলাম তব আপন,
বুঝিতে নারি করি আঘাত স্বদেহে!
ভাবিনু হয়েছি প্রেতাত্মা কোন প্রেত বরে!
সহসা সেজন কহিল উচ্চস্বরে,
মৃত নহে তুমি ,আছো জীবনতীরে
শুধু ত্যাগিয়াছো স্বীয় সত্বা, মোরে!
আমি তব সত্বা হেরি ফিরে ফিরে
যদি বা ফিরিতে পারি কভু নিজ নীরে ৷
তব প্রতিগ্ঞা তুমি দিয়া বিসর্জন,
স্বীয় সত্বা মোরে করিছো দমন
সহসা লভিলে কেন এ করুণ বমন –
ত্যাগিয়া সকল সুন্দর সাধন ৷
প্রথম যেদিন তুমি ধরেছিনু খাতা
আসিয়াছিল মুদিয়া মম নেত্রপাতা
তবু ছারিয়াছিলে কী মোরে?
আজ যবে আমি জাগ্রত পণপ্রার্থী
তখনি পাঠালে কেন নিদ্রার আর্ত্বী!!
করিয়াছিলে পণ তোমার কবিজীবন
সিক্ত করিবে শক্তকে, করি সুধা সিন্ঞ্চন ৷
সহসা মিলায়ে ছায়া,রাখিয়া বাষ্পধোয়া!
আবার ত্যাগিলে মোরে, আধারেতে ছেরে ৷
নিরবে করি চিন্তন,ব্যাথিত বিষম মন
নিজেরে করি গোপন, ভাঙ্গিয়াছি পণ!
ধরিনু কলম আবার লিখিব পুনর্বার
বিরহ—মিলনে সিক্ত নব প্রেম পারাবার
লিখিবপুনর্বার ৷