সৌম্য এ ধরনী প্রান
   হে সুমহান
     তুমি করিয়াছো দান!
        কেমনে ফিরায়ে নেবে
           এ সুমধুর তান ৷
               কেমনে ফিরায়ে নেবে
                   তুমি তোমার দান!
বুদ্ধি দিলা বা যদি,
  ঘটিল না বিকাশ!
     তবে আর কীসে ,
       পাবো অবকাশ ৷
          সৃজিলা জগৎ'পরে
             ক্ষণিকের তরে
               কী বা আছে হেথা!
                  নিব প্রান ভরে ৷
জীবন যেথা হাই
   অতি তুচ্ছ ছাই,
       কী বা থাকে ইচ্ছা
          ব্যাতিত তব কীর্তন ৷
             তাও যেন করিতে পারি
                হতে তব সহচরী
                   অনন্তের পথে,
                      নাহি দ্বিধা মোর
                        মরণে কোনো মতে ৷
যবে ত্যাগিয়া এ ধরা
   কাটায়ে সকল জড়া  
      অনন্তের পথে করিবো গমন ৷
         অনন্তের মাঝে হ'য়ে লীন,
            বেচে যেন হেথা রহি চিরদিন ৷
               এতটুকু আশা,
                   মাঘে এ অর্বাচীন ৷
                      ধরনীর ক্রোড়ে হোক,
                         এ দেহ বিলীন ৷
জানি প্রভু, আমি জানি,
   তুমি বিরাজো মোর মাঝে ৷
       ব্যাতিত তুমি, আমি
          অস্তিত্ব হীন ৷
              মোর মুখে বলো, তুমি
                  তোমার যত কথা ৷
                      মোর বুকে সহ্য করো, তুমি
                         তোমার গোপন ব্যাথা ৷
মোর হস্তে করো দান
   দরিদ্র দীনে ৷
      জানি প্রভু, আমি জানি
         তুমিও অস্তিত্বহীন
            ব্যাতিত আমি হীনে ৷
               তুমি জাগ্রত মানব,
                  যাক প্রান কী বা আসে যায়
                      লীন যবে সোনার ধরায় ৷
অতএব    করহে গ্রহন
     তুমি    মোর    প্রান
          স্বীয়    হস্তে    এখন ৷
                দিয়ে প্রান বিসর্জন
                     সসীমেরে করে বর্জন
                          অনন্তরে করিব পান ৷৷