গ্রামের সেই মেটো পথের ধারে
বৈশাখি মেলাতে,
আমাবস্যার কালো রাত্রী
শ্রাবণের পিচ্ছিল পথ বেয়ে
ঘুরছি পথ ভোলা পথিকের বেশে,
কখনও ভাত শালিকের দলে
কখনও শঙ্খচিলের দলে,
ছুটে চলেছি অবিরাম, বিরাম হয়নি মোটে
আমি ক্লান্ত পথিক,
মোর জীবনের সব কিছু শেষে পথে
তখন ছিল মোর পাশে,
হাত বুলাইতো দেহের পরেতে
সে,কি তুমি?
রঙ্গপুরের তমালিসা দেবী।


কেশ যুগল কর্ণ আঁখি নির্মল আভা
সুপক্ষী কণ্ঠীবেশে তীক্ষ্ণ তার চাওয়া
বক্ষযুগল পর্তবগিরি বিদ্ধ করিবে ধরা
কলসের মতো গ্রীব্রা তার মৃগার ন্যায় কটি
থমকে দাঁড়ায় পথিক হারিয়ে ফেলে তার গতি
কি যে মায়াবিনী,
সে,কি তুমি?
রঙ্গ পুরের তমালিসা দেবী।


চলন বলন সুচারু তার
নিতম্ব ভুষণ ঊর্মি উত্তাল জলধি
কোমল পরশ পদ চরণে-
ধুলায় নামিল শশী
আহা কি অপরুপ কারিগর
সৃজন করিল ধরায়
কি যে মায়াবিনী,
সে, কি তুমি?
রঙ্গ পুরের তমালিসা দেবী।