অপরাহ্নের এইসময়টায় আজো বসে আছি ব্যাসকুণ্ডের ঘাটে
হলুদ রোদ্দুরে, নিঃশব্দে, নস্টালজিয়ায় কেটে যায় কিছুসময়
হৃদপিণ্ড বিকীর্ণ হয় অতীতের কিছু সুখ, কিছু দুঃখগাঁথায়!

মৃত্তিকা- ভীষণ মনে পড়ছে তোমাকে
আজকের এই পড়ন্ত সূর্যটাকেও দেখাচ্ছে
তোমার বুকের গোলাপি শেমিজের মতোই সুন্দর,
সিগ্ধ আভায় জাগিয়ে তুলছে আমার হৃৎস্পন্দন!

জানি, রূপান্তরিত সময়ের অনিবর্চনীয় বাঁকবদলে ক্রমশ ডুবে গেছে
সেইদিনের সেই শিল্পমগ্নতা, আনন্দময় অনুভূতিগুলো।

মৃত্তিকা, তুমি তো জানো-
তোমার ঠোঁটে, মুখে, দেহসৌষ্ঠবে এঁকে দেয়া চুম্বনরেখাগুলো
হয়ে উঠতো আমার কবিতার শব্দমালা!

বৃষ্টির শব্দের মতোন, ঠিকরে পড়া জোৎস্নার আলোর মতো তুমি ছিলে একখানা অনবদ্য পাণ্ডুলিপি!

আজ তোমাকে ছাড়া আমি শব্দহীন পৌরাণিক পাথর।

নিশ্চিত করে বলতে পারি-
শাবল দিয়ে খুঁড়ে, লোহা কিংবা ইস্পাতের মতো গলিয়ে
সেই পাথরে তোমার নামহীন একটিও উপাত্ত খুঁজে পাবেনা প্রত্নতত্ত্ববিদগণ।