মেঘ যদি চাও চিনতে তুমি, লো মিডিয়াম হাই
দশটি মেঘের তিনটি ভাগ, জেনে রেখো তাই।
এসটি এসসি সিইউ সিবি, লো ক্লাউডের নাম
এসি এএস এনএস জেনো, ক্লাউড মিডিয়াম।
আরো তিনটি ক্লাউড আছে, উচ্চাকাশে সৃষ্টি হয়
সিআই সিসি সিএস নামে, হাই ক্লাউডে পরিচয়।


সিবি মেঘতো সবার রাজা, সিইউ মাতৃজঠর
এনভিল টাইপ বজ্রমেঘের, নামটি কিন্তু জবর।
এসটি মেঘতো সবার নীচে, বাদলাদিনে রয়
শীত সকালে কুয়াশারও, একই পরিচয়।


এএস মেঘেও বৃষ্টি থাকে, আকাশ জুড়ে রয়
মিডিয়াম ক্লাউড সহযোগী, ঝড় বাদলের ভয়।
সব মেঘে ভাই পানি থাকে, বৃষ্টি হয়ে ঝরেনা
উর্ধাকাশে যায় শুকিয়ে, দৃষ্টিতে তাই পড়েনা।
ফুলকপি রূপ মেঘ দেখেছো, সিইউ যে নাম তারি
সূর্য ঘিরে রিং এর মতো, সিএস রংবাহারি।


পেঁজা তুলো থোকা থোকা, সারা আকাশময়
এসসি মেঘের সেই রূপটি, জাগতিক বিস্ময়।
পেস্তাবাদাম রূপ যদি হয়, নীল আকাশের গায়
এসি ক্লাউড বলতে পারো, তুমি নির্দ্বিধায়।
এএস ক্লাউড চন্দ্র সূৃর্য, ঢেকে দিতে পারে
এনএস এসে মান ভাংগালে, বৃষ্টি হয়ে ঝরে।


পাটের আঁশের মতোও মেঘ, দেখতে যদি পাও
সিআই নামে ডাকবে তারে, যখন যেথায় যাও।


লেজের মত মেঘ যা দেখ, দূর আকাশে হয়
কটরা মেঘ নামটি যে তার, অথচ মেঘ নয়।
আরও অনেক ক্লাউড আছে, বলবো কিরে ভাই
ফানেল ক্লাউড বিশেষ ধরন, টর্ণেডোতে পাই।
লেন্টিকুলার ক্লাউড দেখো, পাহাড় ছুঁয়ে থাকে
লেন্সরূপী চেহারা তাই, এই নামে ডাকে।


একই মেঘের অনেক রূপ, বর্ণনাতে পাই
অল্প করে জানান দিলাম, এবার তবে যাই।
ও হ্যাঁ শোন পাঠক সুহৃদ, বিশেষ ভাবে জেনো
সিইউ সিবি এনএস মেঘ, গুরুত্বপূর্ণ মেনো।