মা-মাতা পিতার আদুরী কন্যা গিয়াছে শ্বশুর বাড়ি,
বহুদিন পরে  দেখিবার তরে  বাঁধিছে জননী হাঁড়ি।
আনিতে যারে পাঠালে মায়ে আসিয়াছে সে ফিরে,
আসেনি কন্যা  পিত্রালয়ে  অধিক্য কাজের ভিড়ে।


পুড়িছে মায়ের  বিরহী পরাণ  চুপসে গিয়াছে মুখ,
অনুতাপে  তার  মনের কষ্টে  কাঁদনে  ভাসায় বুক।
বৃক্ষের শাখে পাকা আম-জাম বসতি ভরিল ফলে,
গিয়াছে ভরিয়া  রুই কাতলা  পাশ পুকুরের জলে।


গোয়াল  ভরিয়া  গরু মহিষ  গোলায় ভরিছে ধান,
মাচাঙে দুলিছে লাউ কুমড়ো বরজে ভরিল পান।
রহিয়াছে উঠোন বিরানভূমি কাটে না মাতার ক্ষণ,
সুখ যেন সব গড়াইয়া পড়ে- যতো রয় পাশে ধন।


আদর যতনে  পুষিয়াছে মায়  নিয়াছে বক্ষ কুলে,
শূন্য আলয়ে একেলা মায়ের  বিরহী পরাণ দুলে।
যতো মমতা মোহ মায়া সব গিয়াছে সবি বিলীন,
কাটিছে মায়ের  নিশিরজনী প্রণয়ের কন্যা হীন।


বাজেনা ঘুঙুর আদুরী কন্যার আদুল দুখানা পায়,
গিয়াছে চলিয়া  শ্বশুর আলয়  কুসুম পুরের গাঁয়।
অক্ষত হইয়া আলতার শিশি  রহিল পড়িয়া ঘরে,
বাধিয়েছে ঘর জঠরের ধন  আপনা আলয় ধরে।