নারী ও নরের- নরে নারীর নহে দূর-বহুদূরে,
নারীর সনে নরের মধুর পিরিতি যুগযুগান্ত ধরে।
নারী হীনে নরকূলে'রে হায়-রহে না শোভা ঘরে,
মায়া-মমতা উজাড় করিয়া নারী দিয়াছে ভরে।

নারী সুন্দর, নারী মায়াবতী, নারীর ছোঁয়াতে সুখ,
নারী দেখালো বিশ্ব জাহান নারী হে আপন মুখ।
জীবন লভিতে প্রেরণা দিয়াছে সাহস দিয়াছে নারী
নারী হীন নর, নর হীনা নারী কেহ নহে দরকারী।

আমি নরোত্তম সত্য কহিব নারী সুন্দর মোর চোখে,
মম ভালবাসি নারী, যাহারা নরের রহিল সুখে দুখে।
কিছু নর-নারী বিবাদ ঘটায়, বিপদজনকে সারা,
নারী নর যেন সর্পি নেউলে কেন হয় নারী গৃহ'হারা?

নারী মা, নারী বোন,নারী সুন্দর, মুগ্ধ হইয়া রই,
পুরুষ হইয়া নারীবাদী মম কেমন করিয়া হই..?
ঘটিতে পারে কতক নারী, নর-কে গিয়াছে ছাড়ি,
তাহা বলে কি দ্বিমুখী প্রেমে লাগিয়াছে মহামারী.?

আপন দর্পে দমন-পীড়ন করিয়াছে যত নারী নরে,
নরে খুঁজিয়া পায় অমৃত সুধা ঐ যে নারীর তরে।
নারী ধ্যান, নারী জ্ঞান নরের, রহিয়াছে কন্ঠে মধু,
নারীর সাঙ্গ জন্মেছে পুরুষ,নারী হয় নরের বঁধু।

ভাবিয়াছো কি হে নর! নারী যদি নাহি রহে-----
বাহিরে -অন্দরে কামনা তাড়না রহিবে কেবা সহে?
নারীর সনে করিয়াছে তাজমহল-প্রেমিক শাজাহান,
রজকিনীর তরে বারটি বছর চণ্ডীর অবসান।

রূপের শোভা, ঝলমলে রূপ অর্ধাঙ্গিনী মোর নারী,
নারীর আবেশে ফিরে পায় নর -রূপের সঞ্চারি।
তবে হ্যাঁ নারীর চরম সুধা যে বা করিবে পান,
তাহারি তৃপ্ত করিলে ধারণ- নর হইবে অজ্ঞান।

নারী শিখালো প্রেমপ্রীতি খেলা,উজাড় করিয়া মন,
নিমিষে শীতল করিয়া দেয় নারী, বেদনায় ভরা ক্ষণ।
কহো- নর তব এমন সুধা কোথা হতে পাইবে আর?
নারী হলো নরের রস সু-মধুর ভাবও রে হে একবার।