তক্ত আমারি ঈশ্বরত্ব আজিকে বলবান যার,
ললাটে মম রাজতিলকে,জ্বলিয়াছে আলো তার।
বিশ্ব ভ্রমান্ধ পদতলে মোর যতো আসে ঝঞ্জাল,
দলিত-মথিত দুর্জ্ঞেয় মার্গে বিলিয়া আয়ুষ্কাল।

দমকী হইয়া রাজাধিরাজের নিবৃত্ত করিয়া প্রাণ,
তখৎ নৃপতির পশুরি ঝাণ্ডার,করে দিয় খানখান।
চাহিরে মম নৃপতি অসুর রোধিতে শনির আসন,
জন রোষাগ্নি গুটিয়া মম দিয়াছি আসুদা ভাষণ।

মম অক্ষয় ভূমির অন্তদহনে মসনদ সত্ত্বা চাই,
নহে,তড়িৎবেগে পশুরি দহন পুড়িয়া করিব ছাই।
অক্ষয় ভূমির রাজাধিরাজের মম আজিকে বীর,
দূষক দঙ্গল করিয়া চুরমার অনত আমারি শির।

আমি আদিত্যে ঘুরিয়া নিত্য নৃত্যে ধরিয়া তান,
দ্বিষৎ এর তরে নিসূদক রূপে,গলদেশ গাহি গান।
কর্ণে বাজে অশনিসংকেত  নাহি মনে মোর ভীতি,
যাহা আসিবে মকদুর শংকা নাহি বিকি মম নীতি।

আমি নিত্য বেড়ায় সাঙ্গ যাহার পদচারণের তুঙ্গে,
অধিক উঁচুতে পদধূলি মোর রহিবে লহরি সঙ্গে।
নারকী, ভণ্ড, অত্যাচারীর পাষণ্ডের যাহা পাপ,
তাহার আসনে তুলিয়া কম্পন,রূপি ধূর্ত মহাবাপ।

অগ্রগণ্যের ছাঁটিয়া অগ্র নিঃসৃতি তুলিয়া ধ্বনি,
দম চাপিয়া  চেতনা ফেরাই মেদিনী দ্বারের শনি।
যাহারা দাণ্ডিক লুট-নটরাজ খ্যাতির শীর্ষে যখন,
প্রশিষ্য আমি দেখাইয়া শাসন করিব অধী গ্রহণ।

জগৎ ব্রহ্মান্ড করিতে দমন ধমনি শিরেই নাচি,
আমি দলি প্রভঞ্জন মহাপ্রলয়ের সুপ্তছলে ভাসি।
মম অন্তরীক্ষের অন্ত দেশের করিয়া স্বরণ প্রভু,
লক্ষ ভ্রংশ মননে ধারণ করিনি আপোষ কভু।

তাজমহলের সম্রাট হইয়া আসিনি আমি আজ,
নিত্য নিমিত্ত রূপকে আজি নব সৃজনের তাজ।
যেথা পাই মম কুর্সি তব পাতিবো আসন ঠ্যাশি,
মহাপ্রলয়ে উল্লাসী মেতে ডমরু বাজিয়ে হাসি।

অনীতি মকামে নীতির তখতে বসিয়া দুর্নিবার,
উল্কার বেগে হানিয়া বেড়ায় করে দিয় চুরমার।
মম, নবষোড়শীর হস্ত কাঁকন যুগ্ম প্রিয়ার প্রেম,
হিয়ার মাঝে নিঃস্বাস ধ্বনি অলকে দেখি শ্যাম।

পূজারী টানি পুণ্য তীর্থে রহিয়াছে হে ইকরাম,
বাধিয়াছিল খেজুরের পাতায় উমরের ইহ্ রাম।
আমি রচয়িতা রচিয়াছি আজ মানস সংবিধান,
আমি,রণাঙ্গে রণবীর আজি আপন অভিধান।

আমি আপন নৃপতি বাঁধি আদি হইতে অনাদি,
হিংস্রের ঘাড়ে চড়িয়া ঘুরি তক্তে বানিয়া গদি।
আমি ক্ষণজন্মা,লক্ষে ছুটিয়া নিদ্রার ধরি ভান,
তখতে মিশা  শোণিত মম শোণিতে করি স্নান।