আমার অ'লিপিবদ্ধ নথিতে কখন যে তোমায় স্বত্ব অধিকার দিয়েছিলাম তা কখনো জানিনা, বিন্দু বিন্দু রূপে গড়ে তুলেছিলাম তোমার জন্য একখানা প্রীতির রাজপ্রাসাদ।

ত্যাগ করেছিলাম চিত্ত ভূমির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ও উচ্চতা সবকিছুই, নির্বিঘ্নে স্থান নিয়েছিলে সমুদয় গলিঘুঁজিতে।
আমার এই প্রাসাদেই ছিলো তোমার অবঞ্চিত সুখনিদ্রা ও শুভ মঙ্গলের অষ্টপ্রহর।

ব্যাধিমুক্ত মনে আপন মহিমায় কখনো বাঁধতে পারনি আমার এই খাস জীবনের স্বপ্নভিটা,চেনা সুরে ফাগুনের মায়াবী সকাল কিংবা চৈত্রের দাবদাহের তন্দ্রাহীন চোখে দেখতাম তোমার চাটূক্তির ক্যাঁবিস্।

অযুত-লক্ষ সুখের স্বপ্ননিবাস নিমিষেই পুড়ে ছাই করে গেলে শ্মশানঘাটে, তোমায় ঠেকাতে পারেনি আমার খাস জীবনের খতিয়ান, গড়তে পারনি এই মৃত্তিকায় স্বর্গনিবাস।

আজ আমার দু’চোখে নেই কোন স্বপ্ন, আছে শুধু উপচে পড় অজস্র নোনাজল, লেপ্টে থাকা রোদের মতো জেগে আছি রঙহীন জীবনের পৃষ্ঠ জুড়ে! রোজ ভাবি পাকাপোক্ত চুক্তিনামায় লিপিবদ্ধ নথিতে কি করে দিয় অন্যের দখল! নিখাদ রয়ে গেলো তোমার বিচরণভূমি।

আমি এখন ছাই রঙা কষ্ট বেচি পূর্ণিমার কাছে- কিনে নিই ঘোর অমাবস্যার নিকষ কালো, পারিনি স্মৃতি গুলো এড়িয়ে এক তিলক এগোতে, একনায়কতন্ত্র শাসনে রেখেছি আমার সৃষ্ট রাজ্যের বেলাভূমি।