তমসা নিশির গগন-পাতাল উর্ধে মাতাল শিখা,
চাঁদ কিরণের দোল লেগে ঐ শ্বেতবরণে লিকা।
মিটমিটিয়ে আলোক দীপি  লিখল লিপি ক্ষণে,
দোলনচাঁপার দোল লাগিলো প্রীতির কুঞ্জবনে।


ওই গগনে আধেক দীপের নীরদ-মেঘের রাশি,
বিজন নদীর তীরে বসে  রাখাল বাজায় বাঁশি।
কাশের ভেলার নিত্য খেলা উদাস নদীর তীরে,
কে আঁকিলো অখিল ছবি ওই নীরদের ভীড়ে?


বিণৎ শীতল  জল থৈ-থৈ   মন্দাকিনীর  দ্বারে,
কোমল ধারার বক্ষে বেদী  রাতের অভিসারে।
পাথার কূলে  ডিঙি দুলে  কাননে ঝুলন শাখা,
নিহারিকার    চাপল  নয়ন  দূর্বা ঘাসে  ঢাকা।


রূর্যকিরণ দীপের ঝলক হাসল আশ্বিনপ্রাতে,
প্রমোদ হইয়া ফুটল প্রসূন ভাদ্র তিথির রাতে।
অরুণ প্রাতে ফেললো চরণ কুঞ্জকানন ঠেলি,
ভোঁদড় হাঁকে  ঝিল  পুকুরে  অষ্ট প্রহর হেলি।


চাঁদ হেরিলো চাঁদের গায়ে কুসুম বনের অলি,
তিমির ঘেরাও বিপিন কানন সবই গেল ঢলি।
প্রসূন কলি  যায়  উথলি  উৎকন্ঠা মোর হিয়া,
প্রভাত ফেরি'র  কাব্য রচি  ভাদর তিথি দিয়া।