বালুময়  নদীচর   অপরূপ   লাগে আজ,
শরতের  কাশে ওই   নবরূপ  নিল সাজ।
চরে পাল  মহিষের  দু'পাড়ের সীমানায়,  
আঁখিদ্বয় অবিরাম সে দিকেই ফিরে চায়।

দখিনের    সমীরণ   বয়ে যায়  অবিরল,
দেখি ওই  বিলে-ঝিল ডাহুকের চলাচল।
বীথিকায়   সুনিবিড়   সুশীতল  চারিধার,
শিশিরের কণাজল নিলো ঠাঁই একাকার।

কোকিলের কুহুতান  করে মন আলোড়ন,
জমিনের কচি ধান দেখে খুব দোলে মন।
গেয়ে যায়  কিশলয়  নীলিমার সারি গান,
ফিরে পায়  নব-দিন  পাখিদের কলতান।  

খুশী খুব  অলি-দল  কুসুমের পেয়ে বাগ,
মেতে রয় গগনেই টিয়ে দল ঝাঁকে ঝাঁক।
বেহিসাব   খতিয়ান   গিরি-বন   উচাটন,
পলাশের   জ্বালামুখ   শরতের  আগমন।

বরষার   মনে আজ   বেদনার   শতদল,
চিরে বুক  সাগরের   তটিনীর কমে জল।
টানে দাঁড় মাঝিদল নায়ে ওই তুলে পাল,  
অবনীর  দেখে রূপ  কবিমন  বেসামাল!