এই সেই দিন
মো: সোহেল মাহমুদ


সকালের সূর্য উঠল প্রতিদিনের মতই
জীবনের সংগ্রামে এক মুঠো
ভাতের জন্য এই কষ্ট করছি।
স্রষ্টার কৃপায় অনেকেই বড় ঘরে জন্মায়
কিন্তু জানিনা আমার জন্য
বিধাতা কেন এত কৃপণ হলেন?
এজন্য আমার আফসোস নেই
কেননা অনেকেইতো দরিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠে
স্রষ্টা যা চান তাই সত্য
তিনি তো কারোর প্রতি জুলুম করেন না।  
কর্মে যখন গেলাম ভাবতে পারি নি
আমার মত গরীবের মৃত্যু এত
কাছে এসে ফিরে যাবে।
যা ঘটল মূহুর্তের মধ্যে চিন্তার সুযোগ পায় নি
মনে হয় কেয়ামত বুঝি এসে গেছে।
চারিদিকে আর্তচিৎকার আর হঠাৎই নিশ্চুপ।
মৃত্যু-জীবন আমাদের মত গরীবের সবই এক
তবুও বাঁচতে কে না চায়
যদিও সবাই জানে মৃত্যু একদিন হবেই।
অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হয়ে একটু ফাঁকা জায়গায়
যখন শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল  
তখন একটু পানি জন্য হাহাকার করছি।
শরীরের একটি অংশ দেবে আছে দালানের নিচে
কি যে কষ্ট, যন্ত্রণা, মনে হয়
প্রাণ, বায়ু বেরিয়ে যাবে
জানি না স্রষ্টা আমাকে কেন বাঁচিয়ে রেখেছেন।
আমার চারদিকেই পড়ে আছে কামাল,
আলআমিন, ভাইসহ আরো অসংখ্য লাশ
মৃতের দেহের গন্ধ আসছে
জানি না কতক্ষণ পর  আমার অবস্থাটাও
তাদের মতই হবে?
এতসব ভয়ার্ত চিন্তার মধ্যে
শরীরের উপর কি যেন পড়ল
দেখলাম না, হাতখানি একটু নাড়িয়ে
একটি পানির বোতল পেলাম
আমি বাচাঁর স্বপ্ন দেখতে  শুরু করলাম।
সামান্য আওয়াজ আসছে কে আছেন
মা, বোনেরা, আমরা আপনাদের বাঁচাতে এসেছি?
আমি বাঁচার স্বপ্নে শরীরে আরো শক্তি পাচ্ছি
আমি বাচাঁও-বাচাঁও বলে আর্তচিৎকার শুরু করলাম।