কবরী লম্বিত অঙনা তোমার
টোল পড়া গালে কথিত গাথা
ভুলে গেছি আমি সেই
শর্বরী দীন মঞ্চে।
পাষাণ মার্তন্ড দিনে তোমার মেনিমুখো,
কৃকলাস ভুজের কোলে
আমি মেদিনী কৌমুদীও দেখেছি।
তোমার কায়া-গাত্র জুরে
ঘামের পয়ঃ কে আমি গঙ্গার
ঝটিকা ভেবেছি,
তাই ভালোবেসেছি।
সীমন্তিনী!
তোমার অসিত গোলাভরা নেত্রে
আমি ডুবু খেয়েছি,কুল হেরেছি
কাতরে কেদেছি লালসায়।
অবশেষ আমি সত্যিই তোমার প্রেমে পড়েছি
ও গো পেচামুখী।
অমা চাঁদনী রাতে,কখনো মিলেনি আমরা
দর্শন বুজিতেই গদে-আখ্যানে
কতোই না গলির মুখে হেসেছি,
চন্দ্রিমা রাতে রঙন গন্ধবহে
আমরাও বহেছি চক মোড়ে,
কখনো ও আবার কাজীর দেউরী
নরেশের মুখ ময়দানে।
সদন পেরিয়ে রিক্সায় করে
বিহগও হয়েছিলাম আমরা,
ডাকাবুকো পথে ঢেউয়ের লহরীতে
ডুবু মুখো পায়ে নীল সাগরে।
মন্দ ললাটে কবে হারিয়েছি তোমায়
অনামিক কিরণ আলোয় -
চেনা পথের অলি-গলিতে
স্মৃতি খুন হয়,
দুঃখ আমি একা বিদায়
ফুটপাতের পণ্যশালায়।
ধোয়াই,ধোয়া চেনা শহরে
আমায় আমিকে বদলাই।
ওহে,রম্য বণিতা -
তোমার আড়ানি প্রেমের বন-কুঞ্জে
সাজানো বিষের কাটা অবুঝ বয়সে
আমি নাহি চিনায়!
এখন আমি তোমার বিষে আমি একাকারিক
সাঙ।