অনেক দিন আগে লিখা -
এই বাংলার আকাশ মাটি,নদী,নারী
প্রকৃতির আভাস নিত্যকাল ধরে দিন মজুরী।
হয়তো জীবনানন্দের ধান শালিক
নয়ত কষ্ট ফেরিওয়ালা হেলাল হাফিজ।
মন দিয়ে ছোঁয়াত লেন্দু গুন
আবার রাখালের বাড়ি ফেরা সন্ধ্যার জসীম।


তারপর আমি,এই ধোয়া,এই নিরামিষ যৌবন
ঠকেন দাদা কল্পক নর আর স্বপ্ন বিলাস।
ব্যর্থ সময়,ব্যর্থ প্রেম হরেক রঙ্গন ললনা।
সন্ধ্যার এক কাপ চা,এক নিকোটিন কাঠি
কষ্ট প্রতিরোধক বাষ্প, আর বন্ধুর সমাগম।


একদিন এইভাবে লিখতে লিখতে ডায়েরী পুরোবে,
অর্থের অভাবে হবে না ছাপা,
লাইনে লাইনে হইতো চোখ দেবে না
দোলন চেয়ারে বসে মতিন দাদা।
বর্ষার দিনে কুমারী কাদাজলের তাল পাবে না
মন খারাপে সঙ হবে না।
এই এক লাইন,এক কবিতা।


এইভাবে হয় একদিন আমিও মরে যাব।
থেকে যাবে অপ্রকাশিত আমার লেখা আর আমার ডায়েরী।
একদিন ডায়েরী ময়লাটে হবে।
হঠাৎ কাক ডাকা ভোরে আমার বধু বেচে দিবে আমার শিল্পের কাগজ।


তারপর তারপর-
শাহবাগ মোড়ে,খামার বাড়ির প্রান্তরে আমার লেখা কবিতা, পাতায় পাতায়
মুড়ানো হবে ঝালমুড়ি অথবা বুড়ির পান।
তৈলে হবে লেখা তৈলাক্ত, আর চুনে আবার সাদা কাগজ।
অত:পর  কোনো এক বর্ষানো দিনে ফেলে দিবে, ফেলা  দেওয়া পাতা ভিজে ছিরে
আমার মতো বিদায়ি হবে,
একদিন
হবেই হবেই হবে চিরনিদ্রাই।