পরীটা উড়তে চেয়েছিল মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে
উড়ন্ত ঈগল হয়ে ডানা মেলে উড়োজাহাজের মতো,
কচুরিপানারা যেমন একে অপরের বাহুডোরে জড়িয়ে থাকে সে চেয়েছিল সবার মাঝে থাকতে।
পথ থেকে পথে ছুটোছুটি করা বাউণ্ডেলেদের মত লাফিয়ে বেড়াতে,
সবার স্নেহে লালিত হয়ে দুচোখে স্বপ্ন দেখত বিশাল কিছুর।
কেন?
ফিকে হয়ে গেছে এক নিমিষেই স্বপ্নঘোর!
আগুনের লেলিহান দাবানল একটি গোলাপকে ঝরিয়ে দিয়েছে অকালে!
পরীটার চাহনি দেখলে অশ্রুধারা বয় নিরবে,
কত মায়াজালে বাঁধতে পারিস বল?
মাথার দু'পাশে পরিপাটি বিনুনি দেখে
চোখের কোণ ভিজেছে বারবার।
ছোট্ট এই ভূখণ্ডের প্রান্তরে প্রান্তরে কত পরী
এভাবে হারিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন!
তোর জন্য এত কেন অশ্রুজল?
ঘাসের চাদরে, আবছা মেঘের ভিতর, শিশিরবিন্দুর মাঝে,
তোরই প্রতিচ্ছবি!
ওপার থেকে চেয়ে দেখ -
তোর জন্য কাঁদছে সবাই,
হাসিমাখা মুখ, ডানা মেলা হাতটি দুলিয়ে
মা-বাবার সাথে দিগ্বিদিক উড়ে বেড়া অজানা পৃথিবীতে  ।।


(রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়ে নিহত ছোট্ট সোনামণি ফাইরোজ কাশেম জামিরার স্মৃতির উদ্দেশ্যে)