একজন মাকসুদুল আলম
          - রিপন রায়


যখন দেখলাম মৃত দেহটি সিড়িতেই পড়ে আছে
মনের মধ্যে অনেক কষ্ট পেলাম ভাবতে পারিনি
ছোট্ট মেয়েটির কান্নার আওয়াজ তখনো পারেনি
দুঃসময়ে মনুষ্যেত্বর বিকাশ ঘটাতে বিবেকহীনে।
অনেক স্বপ্ন অনেক আশা অনেক কল্পিত পরিকল্পনা
একসাথে চলা একসাথে বলা হাসিখুশি সপ্ততরুর
আজ তার সবটুকুই স্বার্থপরতায় পরিপূর্ণ ।
অসহায় এক নারী পেলনা সপ্তকল্প তরুর সাহায্যের হাত
একই ফ্ল্যাট সাত তলা ভবন একসাথে তার বসবাস ।
হলো না রক্ষা মহামূল্যবান শাঁখা আর সিঁথির সিধুর
এতটা নির্দয় এতটা নিষ্ঠুর কেমন করে হও তুমি পৃথিবী
কে দেবে আশা কে জাগাবে ভরসা আমি বড়ই অসহায়।
দিনের আলোয় জেগে থাকা লোকগুলো আসেনি সেদিন
এতটুকুও শান্তনা দিতে , চোখের জল মুছে দিতে
ধূসর কালো মেঘ ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেল মূহুর্তে
একটি দমকা হাওয়া মূহুর্তে করে দিল সব এলোমেলো
থেমে গেল কোকিলের স্বর দখিনা বারান্দার বাতাস
বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেল পল্লী বাংলার ঘরে বাইরে
ধুয়ে গেল অতি আদরে মাখা আলতা রাঙা পা দুখানি
নববধূর সাঁঝের প্রদীপ দমকা হাওয়ায় নিভে গেল
সৎকারের আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে
আপনজনের কারো দেখা মিলা ভার।


চারিদিকে ঘোর অন্ধকার আকাশে ঘন মেঘ ঘনীভূত
জোনাকি পোকারা দূর থেকে বহুদূর করমোচা বনে
আচমকা মিশে গেছে বহমান কালের দৃষ্টিকোণে
নদী তার হারায়ে স্রোত পাখি তার আপন ঠিকানা
বিভীষিকাময় পৃথিবীর বুকে মাকসুদুল আলম
সর্বদা করে বেড়ায় প্রভাত ফেরী, হয়ে যায় দেবদূত।