প্রদীপের ঘিয়ে ভেজা শিখায় সম্পন্ন মঙ্গলারতি,
মনে প্রজ্বলিত করে নব অম্লান জ্যোতি।
ফোঁটা ফোঁটা করে গলে পড়া মোম,
গায়ে পড়লে খাড়া হয়ে যায় রোম।  
ধূপতি থেকে নির্গত কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া,
দিয়ে যায় ভক্তি আর বিশ্বাসের ছোঁয়া।
যজ্ঞে আহুতি দিতে গিয়ে পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণ,
করে সব দুঃখ, দুর্দশা নিমেষেই নিবারণ।
বৈদিক যুগের জীবনযাত্রার এক অবিচ্ছেদ্য পাঠ্যক্রম,
আর্য জাতি কঠোরভাবে মেনে চলতো চতুরাশ্রম।
কিশোর অবস্থায় ত্যাগ করে পিতা-মাতার সহচর্য,  
আর্য পুত্র আশ্রমে পালন করতো ব্রহ্মচর্য।
শিক্ষা সম্পূর্ণ করে ধরে যুবকের বেশ,
সে বংশ রক্ষায় করতো গার্হস্থ্যে প্রবেশ।
সন্তান মানুষ করে হয়ে ঈশ্বরের দ্বারস্থ,
সে সস্ত্রীক সানন্দে গ্রহণ করতো বানপ্রস্থ।
শেষে একদিন স্বর্গযাত্রার করে সে শিলান্যাস,
নিয়ে নিতো এই সংসার থেকে সন্ন্যাস।
এইভাবে ত্যাগ করে মায়া মমতার পিঁড়ি,
সে ক্রমান্বয়ে আরোহন করতো আস্থার সিঁড়ি।