সব মানুষের শৈশবের সই,
চিরকাল থেকেই ছিল বই।
উল্টিয়ে তার রঙিন মলাট,
জ্ঞানের শূন্যতা করেছি ভরাট।
নতুন বইয়ের প্রিন্টের গন্ধ,
শুঁকতে লাগে ভারী আনন্দ।
ইন্টারনেটে যতই থাকুক ই-বুক,
বই হাতে পড়তেই সুখ।
সাজিয়ে নিয়ে শুভেচ্ছার বরণডালা,
সবাইকে স্বাগত জানায় আগরতলা।
হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণ,
প্রতিবছর করে বইমেলার আয়োজন।
উদ্বোধন ফেব্রুয়ারীর ২১ তারিখ,
ককবরক ভাষায় বিজাপ বানিক।
বসন্তের বাতাস বইছে যখন,
বইমেলার বয়স ৪২ তখন।
কবি সম্মেলনে কবিতা পাঠ,
১৪ দিনব্যাপী চাঁদের হাট।
আমরা যারা কবিতা লিখি,
সারাবছর অপেক্ষায় বসে থাকি।
শ্রোতার মুখে ফুটাতে হাসি,
দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসি।
বইমেলা এক মহামিলনের উৎসব,
মিলিত হয় লেখক প্রকাশক।
সাহিত্য অনুরাগী আপামর পাঠক,
বইয়ের নেশায় হয় আটক।
প্রতিবার বইমেলার মূল আকর্ষণ,
ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুবন্ধন।
বইয়ের স্টলে ঘুরলে নির্ঘাত,
বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে হবে সাক্ষাৎ।
অগ্নিমূল্যের বাজারে হয়ে জেরবার,
একমাত্র বইমেলায় মিলে ছাড়।
রাজ্য সরকারের ঐকান্তিক প্রয়াস,
বইপ্রেমীদের জন্য বিনামূল্যে বাস।