আমারও যদি মেয়ে হতো,
নাম রাখতাম বৃষ্টি;
তাকে হাসপাতালে দেখতে যেতাম-
লাগতো ভারী মিষ্টি।
বাজনা বাজিয়ে তাকে আনতাম,
থাকতো সবাই সাক্ষী;
যেন আমার বাড়িতে এসেছে-
স্বয়ং মা লক্ষ্মী।
রাত জেগে ঘুম পারাতাম,
লাগতো খুব ভালো;
সে আমার ঘরে থাকতো-
করে চারিদিক আলো।
সে আমার হাতে ধরে,
করতো হাটি হাটি;
মেলা থেকে কিনে দিতাম-
খেলার রান্না বাটি।
সে যখন ধীরে ধীরে,
বলতে শিখতো কথা;
প্রথম বাবা ডাকটি শুনে-
ভুলতাম সব ব্যথা।
কখনো গায়ে তেল মাখতাম,
কখনো বাঁধতাম চুল;
সে একদিন বড় হয়ে-
যেতো নার্সারি স্কুল।
ছোট ছোট জিনিসের জন্য,
যখন করতো কান্না;
অফিস থেকে বাড়ি ফিরে-
পূরণ করতাম বায়না।
তাকে পড়াশোনা করার পাশাপাশি,
মাজতে শেখাতাম বাসন;
ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে-
করতাম মৃদু শাসন।
স্কুল,কলেজ,ইউনিভার্সিটি পাঠিয়ে,
তাকে নেওয়াতে ডিগ্রী;
আমি হাসিমুখে করে দিতাম-
জায়গা জমি বিক্রি।
আমি সারা জীবন উপার্জন করে,
যা রাখতাম জমিয়ে;
উপযুক্ত পাত্রের সন্ধান পেলে-
দিতাম তার বিয়ে।