আমি সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর এবং কলি;
আমি গাঙ্গেয় সমভূমির উর্বর পলি।
আমি পুরাণ, উপনিষদ এবং গীতা;
আমি সতী, সাবিত্রী এবং সীতা।
আমি ব্রহ্মচর্য্য, গার্হস্থ্য, বাণপ্রস্থ এবং সন্ন্যাস;
আমি যাযাবর বৃত্তি ছেড়ে বসতির শিলান্যাস।
আমি ঋক, সাম, যজু এবং অথর্ব বেদ;
আমি সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত যজ্ঞ অশ্বমেধ।
আমি বদ্রীনাথ, রামেশ্বরম, পুরী এবং দ্বারকা ধাম;
আমি সভ্যতার সাক্ষী হয়ে বয়ে চলেছি অবিরাম।
আমি মগধের সুশাসক শূরবীর চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য,
আমি গুপ্তবংশের সুবর্ণযুগের স্থাপত্য-ভাস্কর্য।
আমি ২য় তরাইনের যুদ্ধে পৃথ্বীরাজের মৃত্যুক্ষত,
আমি সতীত্ব রক্ষার্থে রাণী পদ্মাবতীর জহর ব্রত।
আমি ২য় পানিপথের ঐতিহাসিক সম্মুখ সমর,
আমি পরাজিত হিমুর শিরকাটা নিষ্প্রাণ ধড়।
আমি হলদিঘাটের প্রান্তরের বালির উত্তাপ,
আমি মেবারের পরাক্রমশালী মহারাণা প্রতাপ।
আমি ছত্রপতি শিবাজীর দুধর্ষ মারাঠা জাতি,
আমি ৩য় পানিপথের যুদ্ধে নিভানো পেশোয়া বাতি।
আমি নির্বাসিত কাশ্মীরি পন্ডিতের বুকের পাঁজরা,
আমি অমরনাথ যাত্রপথে হয়েছি গুলিতে ঝাঁঝরা।
আমি গোধরার অভিশপ্ত ঐ সবরমতী এক্সপ্রেস,    
আমি মৃত করসেবকদের ঝলসানো দেহাবশেষ।
আমি দিল্লীর রতনলাল,অঙ্কিত শর্মা আর দিলবর,  
আমি নিরীহ সন্ন্যাসীদের রক্তে রক্তাক্ত পালঘর।    
আমি বাংলাদেশের অকালে বিসর্জিত দুর্গামূর্তি,
আমি প্রাণ বাঁচানোর জন্য মানুষের করুণ আর্তি।  
আমি অসহায়ত্বের আগুনে অনবরত জ্বলছি,        
আমি হিন্দু বলছি।