আগুনঝড়ানো লেলিহান দিবসের ফুটন্ত দাবদাহে,
হতদরিদ্র-শ্রমজীবী-মেহনতী জনতা মুক্তি চাহে।
আবহাওয়া আজকাল বিক্ষিপ্ত আর বিমাতৃসুলভ,
কোথায় যেন হারাইয়া গিয়াছে কোলাব্যাঙের রব।
গোয়ালপাড়ার দামাল বাছুরও আজি বড়ই বাধ্য,
যেন শুইয়া পুচ্ছসঞ্চালনাও তাহার পক্ষে অসাধ্য।
দোহারের কন্ঠে শুকাইয়া গিয়াছে গান দরিয়া,
তাহারা যেন সুর-তাল-ছন্দ অন্বেষণে মরিয়া।  
বনের সমগ্র বৃক্ষকূল আছে অসহায় দাঁড়াইয়া,  
তাহারা যেন প্রার্থনারত শাখা-প্রশাখা বাড়াইয়া।  
নদী-নালা-খাল-বিল গিয়াছে শুকাইয়া,
তাহারা যেন ভূ-গর্ভে আছে মুখ লুকাইয়া।
বাতাসও বড়ই বিকারগ্রস্থ আর অসংলগ্ন,
সেও যেন পানশালায় সুরার নেশায় মগ্ন।
অবশেষে বাজিয়া উঠিয়াছে যুদ্ধের দামামা,
যেন প্রতিশোধের ক্রোধে উন্মত্ত অশ্বত্থামা।
হে মৌসুমীবায়ুর স্নেহধন্য পশ্চিমা ঝড়-ঝঞ্ঝা,  
তব ধনুকে বৃষ্টিবাণ নিক্ষেপণ হেতু চড়াও প্রত্যঞ্চা।
তব আবির্ভাবে জলে-স্থলে-আকাশে ফুটুক হাসি,
বাদল বর্ষিত বারিধারায় আমি যেন হই বানভাসি।