এই কূল-কিনারাহীন ভবসাগর মাঝারে আমি আর তুমি,    
যৌবনের ঢেউ রক্ষণশীলতার বাঁধন ভাঙিতেছে যেন;


দুষ্টু-মিষ্টি হাস্যরসের ছলে তব তুষারশুভ্র দন্তরাশি,
মেঘ-মল্লারে বিদ্যুতের ঝলকানি দিতেছে যেন;


দখিনা সমীরণে তব খসিয়া পড়া কবরীর কেশরাশি,
পূর্ণিমা রজনীতে অমানিশার ভ্রম সৃষ্টি করিতেছে যেন;  


বসন্তের আবিরে মাখা তব দুধে-আলতা বর্ণের মুখখানি,
লজ্জা-শরমের লালিমায় রক্তিম হইয়া উঠিতেছে যেন;  


তব কুমারী দেহের নৈসর্গিক স্থাপত্য-ভাস্কর্য শিল্পকীর্তি,
সৃষ্টিকর্তার সৃজনশীলতার নিদর্শন বহন করিতেছে যেন;


তব কোকিলকন্ঠী সুর-মূর্ছনায় অনুরণিত প্রভাত-রাগিনী,
চড়কপূজোর বড়শীতে সহ্যশক্তির পরীক্ষা লইতেছে যেন;


পহেলা বৈশাখের মেলায় তব জামদানী শাড়ীর আঁচল,
সূর্যালোকের প্রতিফলনে চক্ষু ঝলসাইয়া দিতেছে যেন;
আমি প্রেমিক হইবনা কেন?