যারা সঙ্গীতে সরবরাহ করে সুর,
তাদের কাহিনী তাদের মতই মধুর।
যারা গানে সৃষ্টি করে মূর্ছনা,
তাদের দিয়েই হয় জলসার সূচনা,
আজ্ঞে হ্যাঁ,তাদেরও আছে মন;
আজ তুলে ধরবো তাদের জীবন।
প্রথমেই যার নাম সে হারমোনিয়াম,
সারেগামাপা ধ্বনিতে বেজে চলে অবিরাম।
তালিকায় পরবর্তী নামটি হল তবলা,
তবলচির মার খেয়ে সে অবলা।
তারপরে নিতে হয় সানাইয়ের নাম,
যাকে ছাড়া অসম্পূর্ণ বিবাহের অনুষ্ঠান।
১৭টি তারে যখন বাজে সেতার,
নিজেকে করে দেয় সম্পূর্ণ উজাড়।
একটিমাত্র তার দিয়ে বাজে একতারা,
যেন খুঁজে তার একাকীত্বের সাহারা।
যখন বেজে উঠে বেচারা বেহালা,
প্রকাশ করে তার বিরহের জ্বালা।
বাউলের বগলে যখন বাজে খমক,
যেন রেগে গিয়ে দেয় ধমক।
যখন মৃদঙ্গ বাদক বাজায় মৃদঙ্গ,
শরীরে বয়ে যায় বৈদ্যুতিক তরঙ্গ।
কীর্তনীয়া যখন বাজায় তার করতাল,
কীর্তনের আসর হয়ে উঠে উত্তাল।
যখন ঢাকির কাঠিতে বাজে ঢাক,
চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দের ছাপ।
যখন রাখাল বালক বাজায় বাঁশি,
মেতে উঠে বৃন্দাবনের সব ব্রজবাসী।