বন্ধুরা তোমাদের একটি গল্প বলবো আজ,
গল্পের বিষয়বস্তু আমি আর আমার জাহাজ।
জলের ছোঁয়া পেলেই হতাম ছু মন্তর,
কল্পনার স্রোতে পাড়ি দিতাম রূপকথার দেশ-দেশান্তর।
দেখতে দেখতে করলাম ২৫টি বসন্ত পার,
আমার গতি হয়ে গেল আরও দুর্বার।
অবশেষে একদিন চোখে পড়লো বিবাহ বন্দর,
কোন কিছু না বুঝেই করলাম নোঙর।
নীল নোনতা পানিতে তখন এসেছিল জোয়ার,
আমার ঘাড়ে হয়েছিলো দাম্পত্যের ভূত সওয়ার।
বালুরাশির ঊষর মাটিতে বিস্তৃত সমুদ্রের উপকূল,
তাতে আবার ফুটেছিল বিবাহের ধূসর ফুল।
একটু এগোতেই সারি সারি মিষ্টির দোকান,
দোকানিরা ডাকছিলো বিনামূল্যে বিবাহের লাড্ডু খান।
মালিকের মেয়ে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলো সাজিয়ে বরণডালা,
জবরদস্তি পরিয়ে দিলো জবা ফুলের মালা।
বেজে উঠলো শঙ্খ, হলো কত উলুধ্বনি;
পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে মাথায় চাপলো শনি।
বেজে উঠলো বাজনা, বেজে উঠলো সানাই;
যখন থামলো দেখি জোয়ারের জল নাই।
সেদিন করে ভুল, আজীবন দিচ্ছি মাশুল;
নাব্যতা হারিয়ে রয়েছি দাঁড়িয়ে ধরে মাস্তুল।