অক্টোবরের সাত তারিখ বেলা ঠিক এগারোটায়,
বোলপুর রওনা দিলাম মারুতি সুজুকি আর্টিগায়।
দীর্ঘ দেড় ঘন্টা সড়ক যাত্রার ধকল,
কঙ্কালীতলা সতীপীঠে পৌঁছানোর পর হল সফল।
বনলক্ষ্মীতে আমড়ার চাটনি চেটে শেষ পাতে,
আমরা এসে হাজির হলাম সোনাঝুরির হাটে।
শিহরিত হয়ে উঠেছিল শিরা থেকে ধমনী,
ধামসা-মাদলের তালে যখন নাচছিল আদিবাসী রমণী।
মুখে পড়ে মুখোশ, গায়ে কালো রঙ;
লাগিয়ে আলগা চুল একজন সেজেছিল সঙ।
চারিদিকে পসরা সাজানো চোখ ধাঁধানো পণ্যসম্ভার,
শাড়ি, পাঞ্জাবি, চুরিদার আর গলার হার।
মেলায় খাবার-দাবারের দোকানও ছিল বেশ মানানসই,
আমের শরবত, কদবেল মাখা, রাবরি দই।  
আমার দুর্বল মোবাইল নেটওয়ার্ক সিগন্যালের জ্বালায়,
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে হারিয়ে গেলাম অবেলায়।
কেনাকাটা শেষে যখন সকলে একত্রিত হলাম,
সূর্য বলল আমি পশ্চিম দিগন্তে ঢললাম।
শান্তিনিকেতনের মিউজিয়াম বন্ধ শুনে ব্যর্থ মনোরথে,
গাড়িতে উঠে ফিরে চললাম বাড়ির পথে।