সূর্যের আলোয় উদ্ভাসিত হুগলীর জল,
ভক্তি, বিশ্বাসের ঢেউয়ে করে টলমল।
তটিনীর তটে প্রবাহিত মৃদুমন্দ সমীরণ;
দিবানিশি করে প্রণব ধ্বনি উচ্চারণ।
রানী রাসমণি স্বপ্নাদেশ পেয়ে অধীর,
এখানে তৈরী করেন দক্ষিণেশ্বর মন্দির।
নবরত্ন এই মন্দিরের নয়টি চূড়া,
১৮৫৫ সালে নির্মাণকার্য হয় পুরা।
মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ভবতারিণী নাম,
দর্শন মাত্রই পূর্ণ করেন মনস্কাম।
দক্ষিণমুখী এই মন্দিরটি তিন তলা,
যেখানে দেবী প্রতিনিয়ত করেন হাঁটাচলা
স্মিত হাস্যময়ী, চতুর্ভুজ, হাতে খড়গ;
শ্রীরামকৃষ্ণ যার সাধনায় হয়েছিলেন উৎসর্গ।
দেবীর চরণের তলায় শায়িত শিব,
যে কারণে দেবী কামড়েছেন জিভ।