দাও ফিরিয়ে সেই দিন,
যুক্তি-তর্ক-ভালো-মন্দ যখন ছিল দুর্বোধ্য।
দায়িত্ব-কর্তব্য যখন ছিল ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
রুপ-রস-গন্ধের পৃথিবীটা ছিল যখন একেবারে নতুন।
ছোট ইচ্ছাপূরণের মাঝে যখন খুঁজতাম জীবনের অর্থ।
বই-খাতা লুকিয়ে যখন পড়া ফাঁকি দিতে চাইতাম।
দুঃখ শব্দের বানান লিখতেও যখন পেন্সিল ভাঙতাম।
মায়ের কোলেই যখন সকল ক্ষুধাতৃষ্ণা মিটাতাম।
রুপকথার গল্প যখন শিহরণ জাগাতো কিশোর মনে।
বায়না-আবদার ছিল যখন মৌলিক অধিকার।
শীতের লেপ সরিয়ে যখন নার্সারী স্কুলে যেতাম,
স্কুলের গেইট বন্ধ করলেই যখন কান্নার রোল তুলতাম।
ছুটির ঘন্টা যখন এনে দিতো মুক্তির ফরমান।
ইউনিফর্ম না খুলেই যখন সারা বাড়ী ঘুরতাম।
গরুর বাছুরের লেজ ধরতে গিয়ে যখন পড়ে যেতাম।
গামলার জলে স্নান করতেই যখন হাবু-ডুবু খেতাম।
দুপুরের ঘুম ভাঙলে যখন বাবার সাথে বেড়াতে যেতাম।
সবুজ ধান ক্ষেতের আল বরাবর যখন দৌড় লাগাতাম।
সুপারী-নারকেলের ডগার ব্যাট দিয়ে যখন খেলতাম।
সন্ধ্যায় যখন দুধের গ্লাসকে এড়ানোর চেষ্টা করতাম।
আওয়াজ করে করে যখন বাল্যশিক্ষার বই পড়তাম।
ঘুমিয়ে গেলে যখন মায়ের হাতে মাখা ভাত খেতাম।
চাঁদমামা যখন বাড়ীর উঠান জোছনায় ভরিয়ে দিতো।
তখন বড় হওয়ার স্বপ্নে কতইনা কেঁদে গা ভাসিয়েছি,
আজ বড় হয়ে আমি সেই সাধের শৈশবকে হারিয়েছি।