নিজের মার থেকেও বেশি যার মহিমা,
সে আর কেউ নয় আমার দিদিমা।
আমার জন্মদাত্রী মাকে জন্ম দিয়েছো তুমি,
আমি সারা জীবন তোমার কাছে ঋণী।
আমি আদর করে তোমায় ডাকতাম দিদা,
মার অনুপস্থিতিতে তুমি মেটাতে আমার খিদা।
মা বেত নিয়ে করলে আমায় তাড়া,
কেউ বাঁচাতো না একমাত্র তুমি ছাড়া।
আমি যে ছিলাম তোমার বড় নাতি,
তাই আদরের ছিলো না কোন খামতি।
সব সময় তোমার ভুল উচ্চারণ ধরিয়ে,
তোমাকে রাগিয়ে তুলতাম বারবার মনে করিয়ে।
তোমার চা দিয়ে মাখা মুড়ির গুড়া,
আমি গোগ্রাসে নিমিষে গিলে ফেলতাম পুরা।
পান ছেচুনি দিয়ে ছেঁচা বাংলা পান,
সারাদিন দিতো তোমায় অফুরন্ত শক্তির যোগান।
অবশেষে আজ এলো সেই অভিশপ্ত দিন,
যেদিন তুমি হয়ে গেলে পঞ্চভূতে লীন।
তোমাকে ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে করে শূন্য,
দাদুর এতোদিনের মনের ইচ্ছা হলো পূর্ণ।
মামার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার সব আনন্দ,
আজ থেকে চিরতরে হয়ে গেলো বন্ধ।
সবাই যখন চেনে শুধু ঠাকুরমার ঝুলি,
আমি শুধুই ভাবি দিদিমাকে কিভাবে ভুলি?