ফুটানির মা বাবা ঘটালেন কি যে কাণ্ড!
তিন সন্তানের জন্ম দিলেন-ন্যাকামি,ফুটানি,কুষ্মাণ্ড।
ন্যাকামির বিয়ে হলে ফুটানিকে চাকরি দিল সরকার,  
এবার তো ফুটানিরও গায়ে হলুদ মাখার দরকার।
একদিন ফুটানিকে দেখতে যখন পাত্রপক্ষ হাজির হলো,
ফুটানি তার ফণা তুলে তাদের সামনে এলো।
সে পণপ্রথার বিরুদ্ধে ছিল আগে থেকেই সচেতন,
পাত্রকে বলল,"পণ পাবেনা দেবো অর্ধেক বেতন"।
ভাই কুষ্মাণ্ডের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়ে ফুটানি বোন,
জানিয়ে দিল সে বিয়ে করবে নিয়ে লোন।
পাত্র মনে মনে ভাবল পাত্রী বনের বাঘিনী,
তখনও বুঝতে পারেনি সে আসলে কাল নাগিনী।
বিয়ের দিন ফুটানির বাবা করল নামমাত্র কন্যাদান,
রেখে দিল কন্যার ব্যাংকের এটিএম কার্ড খান।
ছাঁদনাতলায় মালা বদল,বিদায় বেলায় কোমর দুলিয়ে;
ফুটানি শ্বশুর বাড়ি চলে গেল বুক ফুলিয়ে।
বিয়ের পরে দিনরাত করে সে ভাই ভাই,
বর বুঝতে পারল সে ফুটানির দ্বিতীয় জামাই।
বৌভাতের পর কাঁদে বর আর তার পরিবার,
ফুটানিকে বাগে আনতে পারে সাধ্য আছে কার?
বাপের বাড়িতে যখন সবকিছু ফোনে জানানো হয়,
উত্তর আসে,"এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।
ফুটানি ভালো মেয়ে,আপনারা তাকে করছেন অত্যাচার;
তাকে নিয়ে কিভাবে চলবেন সেটা আপনাদের ব্যাপার"।
বিছানায় বসে মাসে মাসে যখন হয় ইনকাম,  
বিয়ে দিয়েও মেয়ের টাকায় ফুর্তি,আয়েশ,আরাম।
মেয়েকে জমির মত বরের কাছে বর্গা দিয়ে,
ফুটানির মা বাবা দিয়েছিল মেয়ে ফুটানির বিয়ে।